বোলারদের পারফরম্যান্সে কোনো ঘাটতি নেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে টাইগারদের পিছিয়ে দিয়েছেন ব্যাটাররা। ব্যাটারদের বাজে পারফরম্যান্সের কারণে এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৭ উইকেটের ব্যবধানে হারলেন টাইগাররা।
দ্বিতীয়বারের মতো নেতৃত্ব কাঁধে নিয়েই পরাজয়ের তেতো স্বাদ নিলেন সাকিব আল হাসান। হয়তো এ কারণেই সতীর্থদের ছাড়লেন না। রীতিমতো ধুয়ে দিলেন। শুধু মানসিক নয়; ব্যাটারদের টেকনিক্যাল সমস্যাও আছে বলে জানালেন তিনি।
এতদিন দেখা গেছে ম্যাচ হারের পর কোচ-অধিনায়করা ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়াতে। কিন্তু এবার বাংলাদেশ অধিনায়ক যেন একটু ক্ষেপেই গেলেন।
অ্যান্টিগা টেস্টে ব্যাট হাতে আর সবার চেয়ে উজ্জ্বল সাকিব। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে টানা দুই হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। সোহানের সঙ্গে ১২৩ রানের জুটি গড়ে টার্গেট দিতে পেরেছেন উইন্ডিজকে। টেস্টের আয়ু বাড়িয়েছেন চতুর্থ দিনে।
তবে কি তিনি মুমিনুল-শান্তদের কোচিং করাবেন টেকনিক্যাল সমস্যা দূর করতে? সাকিবের বক্তব্য, একই সঙ্গে অধিনায়ক আর কোচের ভূমিকা পালন করার কোনো ইচ্ছেই নেই তার।
সাকিব বলেন, ‘দেখেন এটা তো আসলে আমার খুব বেশি আলোচনার বিষয় না। কোচেরই আলোচনা করার বিষয়। এখন আমি যদি কোচিংও করি অধিনায়কত্বও করি তা হলে তো সমস্যা। আমার কাজ যতটুকু, ততটুকুতে থাকা আমার মনে হয় বেটার। আমার দায়িত্ব যতটুকু, ততটুকু পালন করার চেষ্টা করব। বাকি যার যে কাজ তা তাদের জায়গা থেকে করলে সবার জন্য কাজটা সহজ হবে।’
তবে ব্যাটিংয়ের এই দৈন্যতা ব্যক্তিগতভাবেই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলে মনে করেন সাকিব। এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘এটা যার যার ব্যক্তিগতভাবে আনা সম্ভব।
এটি কাউকে বলে দিয়ে কাজ হবে বলে আমার মনে হয় না। সুতরাং এটা ব্যক্তিগতভাবে সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে কীভাবে সে রানে ফিরতে পারে বা ক্রিজে বেশিক্ষণ সময় কাটাতে পারবে।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।