মোঃ ছামিউল ইসলাম, জামালপুর প্রতিনিধি: মেলান্দহ সদর ব্রাঞ্চ ও আঞ্চলিক অফিসের ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন (৫০) কে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগে রবিবার ( ১৯ জুন) দুপুের গণধোলাই দেয় ভুক্তভোগী নারী ও তার স্বামী এবং উৎসুক জনতা।

খবর নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়-শেরপুর জেলা সদরের শফিকুল ইসলামে ছেলে জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার সদর ব্রাঞ্চ ও আঞ্চলিক অফিসের ম্যাননেজার মোঃ শাহাদাত হোসেন ঋণ দেয়ার কথা বলে পৌরসভার শাহাজাতপুর এলাকার ক নামক জনৈক নারীর সাথে (বানানো) শ্যালিকা পরিচয়ে সখ্যতা গড়ে উঠলে তোলে এবং দিনে – রাতে ঋণের টাকার অযুহাতে ফোনালাপ চলতে থাকে।

ফোনালাপের মাধ্যমে কথা হবার পর মাঝে মাঝেই অফিসে আসতে বলতো কিন্তু বিভিন্ন বাহানায় ঋণ আজ নয় কাল হবে বলে চলে যেতে বলে এবং ঋণ তাড়াতাড়ি পেতে হলে তার লোভনীয় আপত্তিকর প্রস্তাবে রাজি হলেই ঋণ পাবে।গত কাল১৯ জুন রবিবার ঋণ দেয়ার কথা ছিলো।

তার প্রস্তাবের কথা ক নামক মহিলার স্বামীকে খুলে বললে তারা দুপুর আনুমানিক ২ টার দিকে মেলান্দহ পৌরসভাস্থ মিয়ারপাড়া মাহমুদপুর রোড় আশা’র ব্রাঞ্চ অফিসে আসে ম্যাননেজারকে প্রথমে ক নামক মহিলা পা হতে জুতা/ সেন্ডেল খুলে মারতে থাকে পরে মহিলার স্বামী ও উৎসুক জনতাগণধোলাই দিতে থাকে।

পরে অফিসের ভিতরের অন্যান্যে লোকজন এসে রক্ষা করে। সন্ধ্যায় মহিলার লোকদের কাছে মাফ চেয়ে গোপনে ঊৎকুষ দিয়ে মহিলা মুখ বন্ধ করলে রাত ৮ অফিসে কয়েকজন বিয়য়টি ধামাচাপা দিতে রফাদফা করেন।

কেন তিনি গণধোলাইর সরবীকার হলেন এমন প্রশ্নের জবাবে ম্যানেজার বলেন – আমার শ্যালিকার নামে ঋণ গ্রহীতা নাম হওয়া ফান করে শ্যালিকা বলে ডাকতাম মাঝে মাঝে কথা বলতাম।আজ হঠাৎ করে আমার উপর আক্রমন করে আমাকে বেধড় মারধর করল তা আমি কিছুই বুঝতে পারলানা।

মহিলারে আমি কোন কু প্রস্তাব দেয়নি সব বানোয়াট। আশার ব্যাংকের এরিয়া ম্যানেজার জুলহাস বলেন- আমি এ বিষয়টির খবর পেয়ে এসেছি।দেখছি কে দোষি। ইনি ( শাহাদাত) অপরাধী হল তাকে কঠিন শাস্তি পেতে হবে।