চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ইউপি নির্বাচনে ৯ নং ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী আব্দুর রহমান (তালা প্রতীক) কর্তৃক বিজয়ী প্রার্থী ডাঃ মোহাম্মদ এজাজ (আপেল প্রতীক) ও তার সমর্থকদের উপর আতর্কিত হামলা চালায়।
জানা যায়,ফলাফল ঘোষণার পর পরাজিত প্রার্থী আব্দুর রহমান ও তার দলবল দা, কিরিচ, লাঠিসোটা সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাৎক্ষনিক কেন্দ্রের দক্ষিণ পশ্চিমে বিজয়ী প্রার্থীর বাড়ীতে ভাংচুর করে। পথিমধ্যে সাংবাদিক আনিছুর রহমানের ছোট ভাই মফিজুর রহমান ( আপেল মার্কার সমর্থক) কে পেয়ে দা, কিরিচ দ্বারা মাথায় আঘাত করে হাড়ভাঙা জখম করে।
লাঠিসোটা দিয়ে উক্ত এলোপাতাড়ি হামলায় এলাকার অনেকেই আহত হয়। আহতদের মধ্যে ইউপি সদস্য প্রার্থী মইনুউদ্দিন ( টিউবওয়েল প্রতীক), জসীম, জিয়াউর রহমান, সাংবাদিক পরিবারের সদস্য জখমী মফিজুর রহমানের ছোট ভাই জিয়াউর রহমান ( ভুট্টা) কে বুকে, পিটে, নাকে, মাথায় উপর্যপুরি জখম করে উল্লাস করতে থাকে।
খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিতি পরাজিত প্রার্থী আব্দুর রহমান দলবল সহ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। স্থানীয় লোকজন ও নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যরা হামলায় আহত মফিজ, জিয়াউর রহমান ( ভুট্টা), ইউপি প্রার্থী মঈনুদ্দিন, জসীম, জিয়াউর রহমানকে আনোয়ারা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
কর্তব্যরত ডাক্তারগণ আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত উন্নত চিকিৎসা জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে রেফার করেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের কর্তব্যরত ডাক্তার জানান আহতদের মধ্যে মফিজুর রহমান এর অবস্থা গুরুতর। মফিজুর রহমানের মাথার আঘাত গুরুতর ও স্মরণ শক্তি লোপ পেয়েছে বলে জানান।
দিবালোকে ২০/৫০ জন সন্ত্রাসীদের টানা এক ঘন্টা ২০ মিনিট এর অধিক সময় ধরে করা হামলা থেকে রেহাই পেতে এলাকাবাসী ৯৯৯ ও উপজেলা নির্বাহি অফিসারকে মুঠোফোনে কল করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সাংবাদিক আনিছুর রহমান বাদী হয়ে ছোট ভাই মফিজুর ও জিয়ার উপর হামলার ঘটনায় চিহ্নিত ৮ জন ও অজ্ঞাতনামা ১২জনের নামে বাঁশখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আসামীরা হল ১/আবদুর রহমান (৪২), ২/ আবু তৈয়ব(৪৬), ৩/ মোরশেদ(২৬), ৪/আকবর(৪০), সর্ব পিতাঃ মৃত নাগুমিয়া, ৫/ কাইছার(৪২),পিতাঃ জাকের আহমদ, ৬/ শাহআলম (৩৬),পিতাঃ লেদু মিয়া, সাং গুনাগরি ২ নং ওয়ার্ড ,৭/এরশাদ(৪০), পিতাঃ মৃত শাহ আলম, ৮/ ইসমাইল(৩৪),
পিতাঃ মৃত আলী হোছন সর্ব সাং সাধনপুর, ৯ নং ওয়ার্ড সাধনপুর,বাঁশখালী ,চট্র্রগ্রাম এবং অজ্ঞাত ১০/১২ জনের নামে মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারে জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলমান রেখেছেন বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব কামাল উদ্দিন।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান খন্দকার আছিফুর রহমান, মহাসচিব মোঃ সুমন সরদার সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।