যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘পরোক্ষ’ আলোচনার কথা অস্বীকার করে আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা কার্যকরভাবে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ইরান।
সম্প্রতি মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতাকে পুরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে ইরানের সঙ্গে ‘পরোক্ষ’ আলোচনা চলছে।
নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে প্রেসটিভি জানিয়েছে, ইরানের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনার যে দাবি করা হয়েছে তার একমাত্র উদ্দেশ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চলমান সংকট থেকে বের করে আনার সুযোগ দেয়া।
সূত্রটি বলেছে, ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে তখনই আলোচনার সুযোগ তৈরি হবে যখন ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা কার্যকরভাবে প্রত্যাহার করা হবে।
ইরান সরকার সম্প্রতি দেশটির পার্লামেন্টে পাস হওয়া একটি আইন বাস্তবায়ন করতে বাধ্য বলে সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক সদস্য জানিয়েছেন।
ওই আইনে ইরান সরকারকে দুই মাসের সময় দিয়ে বলা হয়েছে, এ সময়ের মধ্যে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া না হলে তেহরান পরমাণু সমঝোতা বাস্তবায়ন থেকে আরো দূরে সরে যেতে বাধ্য থাকবে।
২০১৮ সালের মে মাসে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকাকে বের করে নেন এবং তেহরানের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
তিনি ঘোষণা করেন, ইরানকে তার ভাষায় আরেকটি ‘ভালো চুক্তি’ স্বাক্ষরে বাধ্য করার লক্ষ্যে তেহরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ’ করা হয়েছে।
নতুন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন পরমাণু সমঝোতা নিয়ে ইরানকে শর্ত দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, ইরানের পরমাণু সমঝোতার ব্যাপারে তেহরান যদি নিজের সব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে, তা হলে আমেরিকাও এ সমঝোতায় ফিরে আসবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একই মনোভাব পোষণ করেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইরান পরমাণু সমঝোতা পুরোপুরি মেনে চললে আমেরিকা তার মিত্রদের নিয়ে তেহরানের সঙ্গে আরও দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে পৌঁছার চেষ্টা করবে, যেখানে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিসহ আরও কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।