দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর ব্রেভ প্রকল্পের উদ্যোগে সম্প্রীতির বাগেরহাট জেলা গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে ইমাম, পুরোহিত, যাজক, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে বাগেরহাটে দি হাঙ্গার প্রজেক্টের আন্ত:ধর্মীয় সংলাপ ও শান্তি পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) অনুষ্ঠিত দিনব্যাপি এই কর্মসূচিটি বাগেরহাট সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনে তিন উপজেলার ৬০ জন বিভিন্ন ধর্মের নেতাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর ব্রেভ প্রকল্পের সহিংস উগ্রপন্থা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এস কে এ হাসিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট ষাট গম্বুজ মসজিদের খতিব মো. হেলাল উদ্দিন,

জেলা সহিংস উগ্রপন্থা নিরসন কমিটির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সেলিম আজাদ, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সমাজকর্মী নুর এ আলম, জেলা সহিংস উগ্রপন্থা নিরসন কমিটির কার্যকরী সদস্য ও সংবাদকর্মী শেখ সাকির হোসেন, জেলা ব্রক্ষন সংসদের সাধারণ সম্পাদক শ্রী নিভাষ আচার্য্য।

বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ, জেলা সহিংস উগ্রপন্থা কমিটির সদস্যবৃন্দ, জেলার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত এবং গীর্জার যাজক উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত সকল ধর্মের নেতা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, নারী নেতৃ, ইয়ুথদের অংশগ্রহনে একটি শান্তির পদযাত্রা ও সম্প্রীতির বন্ধনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শুর করা হয়।

সভায় বক্তারা একটি সম্প্রীতির জেলা গড়ে তোলার লক্ষ্যে আন্ত:ধর্মীয় সম্পর্কের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। তারা বলেন, সকল ধর্মই মানবতার কথা বলে, মানুষের প্রতি ভালোবাসার কথা বলে। ধর্ম কখনও মানুষের প্রতি অক্রমনত্বক অচরণ করার কথা বলে না বরং ধর্মীয় অনুভুতি সম্পন্ন মানুষ সকলসময় সকল ধর্মের মানুষের প্রতি সহনশীল হয়।

বাগেরহাট ষাটগম্বুজ মসজিদের খতিব তার বক্তব্যে বলেন, “সকল ধর্মের মূল বিষয় হচ্ছে শান্তি ও সম্প্রীতি, কোনো ধর্মই সংঘাতের কথা বলে না। আমরা যে ধর্মেরই অনুসারি হইনা কেন পরষ্পরের প্রতি পারষ্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ধরে রাখতে পারলে আমরা একটি মর্যাদাপূর্ণ মানবিক সমাজ গড়তে পারবো।

বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সমাজকর্মী নুর এ আলম তার বক্তব্যে বলেন, “একজন প্রকৃত ধর্মপ্রাণ মানুষ কোনো সময় অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি সহিংস হতে পারেন না। ধর্মীয় অনুশাসন মানুষকে পরিশুদ্ধ করে তোলে, এই শিক্ষা আমাদের ধর্মীয় নেতারা প্রচারের ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা অব্যাহত রাখবেন।

অনুষ্ঠানে ধর্মীয় নেতারা নিজ নিজ ধর্মগ্রন্থ থেকে উগ্রবাদ ও সহিংসতা প্রতিরোধে ধর্মের ব্যখ্যা ও সম্প্রীতির বাণী তুলে ধরেন। অনুষ্ঠান শেষে সকলেই একটি সম্প্রীতির বাগেরহাট জেলা গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।