ইউক্রেনের দক্ষিণ-পশ্চিমের শহর লিসিচানস্ক সম্পূর্ণ দখলে নেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক (এলপিআর)। শনিবার এলপিআরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সহযোগী ভিটালি কিসেলেভ রুশ সংবাদমাধ্যম তাসকে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক (এলপিআর) এবং রাশিয়ার মিত্র বাহিনী সামনের দিনগুলোতে লিসিচানস্ক সম্পূর্ণরূপে মুক্ত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিসেলেভ বলেন, সামনের দিনে লিসিচানস্কের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সেখানে কী পরিমাণ ইউক্রেনীয় সেনা রয়েছে, কে তাদের কমান্ডার, সেখানে আমাদের সামনে দাঁড়ানোর ক্ষমতা তাদের আছে কিনা এসব চিন্তা না করেই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি; সবার জন্য নাৎসিমুক্ত এবং বেসামরিকীকরণ অনিবার্য।
মস্কোয় লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিকের রাষ্ট্রদূত রোদিয়ন মিরশনিক শুক্রবার বলেছিলেন, এলপিআর এবং রাশিয়ার সেনারা লিসিচানস্কের উত্তরাঞ্চলের এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল। শুক্রবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, গত তিন দিনে রুশ সেনারা লিসিচানস্ক তেল সংশোধনাগার, মেট্রোসকায়া খনি, গেলাটিন প্ল্যান্ট এবং তোপোলেভকার বসতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লেফট্যানেন্ট জেনারেল ইগোর কোনাশেনকভ বলেন, লিসিচানস্ক থেকে ইউক্রেনীয় সেনাদের পিছু হটার দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। ফেব্রুয়ারিতে হামলার শুরুর পর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে কাছাকাছি চলে গিয়েছিল রুশ সেনারা। কিন্তু কিয়েভ ও অন্য শহর নিয়ন্ত্রণে নিতে ব্যর্থ হয়ে মার্চে নিজেদের লক্ষ্য পরিবর্তন করে মস্কো। এর পর দোনবাসকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানানো হয়।
এখন দোনবাসের শিল্পাঞ্চল দখলে নজর রাশিয়ার। দেশটির দাবি, ইউক্রেন সেখানে রুশভাষীদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালাচ্ছে। মস্কো এ অঞ্চলকে গুরুত্ব দেওয়ার পর থেকে বেশ সাফল্য পেয়েছে বলা যায়। সম্প্রতি গুরুত্বপূর্ণ সেভেরোদোনেৎস্ক এলাকা দখলে নিয়েছে রুশ সেনারা। এখন তারা লিসিচানস্ক দখলে অতিমাত্রায় তৎপর হয়ে ওঠেছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।