প্রতি বছরের মতো এবারও ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে রথযাত্রায় সামিল হয়েছিলেন টালিউড অভিনেত্রী ও সংসদ সদস্য নুসরাত জাহান। বছরখানেক আগে সিঁদুর পরে নিখিল জৈনকে (আগের স্বামী) পাশে নিয়ে রথ টেনে ছিলেন এই অভিনেত্রী।

তবে সেসব এখন অতীত। মাঝে করোনার জন্য ভাঁটা পরেছিল উৎসবে। এবার তিনি সামিল হলেন কলকাতার ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসাসনেসের (ইস্কন) রথযাত্রায়। শুক্রবার দুপুরে রথযাত্রার অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে জগন্নাথ দেবের পায়ে ফুল নিবেদন করেন মমতা। এ সময় তার সঙ্গেই ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সংসদ সদস্য অভিনেত্রী নুসরাত জাহান, অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীতি গোয়েল প্রমুখ।

তবে এবারের ইস্কনের রথযাত্রায় আকর্ষণ ছিলেন নুসরাত। কারণ সম্প্রতির প্রতীক হিসেবে নুসরাতকেই বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ইস্কন। স্বভাবতই মমতার পাশাপাশি নুসরাত, সোহমের মতো সেলিব্রিটিদের দেখতে উৎসুক মানুষ থেকে মিডিয়ার উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মত।

করোনার কারণে গত দুই বছর রথযাত্রার অনুষ্ঠান হয়নি। ফলে এবার উৎসাহ, উদ্দীপনায় কোনো কমতি ছিল না। মমতা-নুসরাত-সোহমের দড়ি টানার পরেই শুরু হয় ইসকনের রথযাত্রা। রথযাত্রা শুরুর আগে যাবতীয় আচার-অনুষ্ঠানও পালন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর নারকেল ফাটান তারা প্রত্যেকেই। এর আগে গর্ভগৃহে গিয়েও আরতি করেন মমতা ও নুসরাত।

এদিকে পুরী এবং পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার মাহেশের রথেও ছিল জনসমুদ্র। পুরীতে এদিন সকাল থেকেই ঢল নামে ভক্তদের। প্রায় কয়েক লাখ ভক্তের সমাগম হয়েছে পুরীতে। অন্যদিকে ৬২৬ বছরে পা দিয়েছে মাহেশের রথ। সেখানেও ছিল লাখো ভক্তের ভিড়।

জগন্নাথ দেবকে একাই আরতি করেন নুসরাত। তার পর রথের রশিতে টানও দেন একা। ভগবানের আরতি করেন সোহমও। রথে টান দেওয়ার আগে দুজনে নারকেলও ফাটান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের অন্যান্য নেতৃত্বদের উপস্থিতিতে জমে উঠেছিল এই বিশেষ দিন।