যশোরের কেশবপুরে নরসুন্দর চঞ্চল দাস (২২) হত্যার রহস্য উদঘাটন করে মূলহোতা সহ ৩ আসামিকে গ্রেফতার এবং হত্যার কাজে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করেছে কেশবপুর থানা পুলিশ।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) রাতে কেশবপুর উপজেলার মজিদপুর গ্রামে ঋষিপাড়ার কার্তিক দাস এর ছেলে চঞ্চল দাস (২২) বাড়ির পাশে মাঠের মধ্যে রবিউল ইসলাম রবির কলা বাগান থেকে গলা ও পেট কাটা অবস্থায় ছুটে এসে কাকা বিকাশ দাসের বাড়ীতে এসে গোঙানি করতে থাকে। শব্দ শুনে বিকাশ দাস ও তার স্ত্রী ঘর থেকে বের হয়ে দেখে বারান্দার শিড়িতে গলা ও পেট কাটা অবস্থায় পড়ে আছে চঞ্চল দাস।
ওইসময় তাদের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে চঞ্চলকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
খুলনায় হাসপাতালে নেওয়ার প্রতিমধ্যে চুকনগর এলাকায় পৌঁছালে চঞ্চল দাস মারা যায়। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে সহকারী পুলিশ সুপার (মনিরামপুর সার্কেল) আশেক সুজা মামুন ও কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দীন সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সন্ধিগ্ধ একই গ্রামের সুদেব দাস (২১) ও তার পিতা আনন্দ দাস (৪৫) কে গ্রেফতার করে।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য মোতাবেক পুনরায় অভিযান পরিচালনা করে সুমন দাস (১৮) কে গ্রেফতার করে। হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা কার্তিক দাস বাদী হয়ে কেশবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। থানার মামলা নং-১।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সুদেব দাস এর নির্দেশে সুৃমন দাস ফোন করে চঞ্চল দাসকে বাড়ী থেকে ডেকে আনলে হত্যার পরিকল্পনা মতে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা সুদেব দাস চাকু দিয়ে চঞ্চল দাসকে গলায় ও পেটে মারাত্মক আঘাত করে। হত্যাকাজে ব্যবহৃত চাকু মাঠের মধ্যে পুতে রাখে।
পরবর্তীতে আসামিদের তথ্য ও দেখানো মোতাবেক সেখান থেকেই হত্যার কাজে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো মজিদপুর গ্রামের নিরাপদ দাসের ছেলে আনন্দ দাস (৪৫) তার ছেলে সুদেব দাস (২১) ও মিন্টু দাসের ছেলে সুমন দাস (১৮)।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দীন বলেন, চঞ্চল দাস হত্যার রহস্য উদঘাটন করে হত্যার মূলহোতা সুদেব দাস সহ ৩ আসামিকে গ্রেফতার এবং হত্যার কাজে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে শনিবার যশোর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।