করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েও শুটিং করেছেন বলিউড অভিনেত্রী গওহর খান। এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে কোভিড–১৯ সুরক্ষাবিধি ভাঙার অভিযোগ উঠেছে। গওহর খানের বিরুদ্ধে ভারতের মুম্বাইয়ের ওশিওয়াড়া থানায় এফআইআর দায়ের করে বৃহন্মুম্বই পৌরসভা। অভিযোগের জের ধরে দীর্ঘদিনের জন্য তাঁকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
যদিও অভিযোগ দায়ের করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছবির ইউনিট থেকে জানানো হয়, এই অভিনেত্রী করোনা নেগেটিভ। তাই শুটিংয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। তবু রেহাই পাননি গওহর খান। পরে তাঁর বিরুদ্ধে কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দ্য ফেডারেশন অব ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজ।
ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, আগামী দুই মাস, মানে ৬০ দিনের জন্য শুটিং করতে পারবেন না গওহর। তাঁর সব ধরনের শুটিংয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সিনে ফেডারেশন। এই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, করোনার রিপোর্ট পজিটিভ হওয়া সত্ত্বেও তিনি শুটিং করছেন।
বৃহন্মুম্বইয়ের পক্ষ থেকে করা টুইটে গওহর খানের নাম লেখা হয়নি। অভিযোগনামায় লেখা হয়েছে, ‘শহরের নিরাপত্তার সঙ্গে কোনো রকম আপস করা হবে না। বলিউডের এক জনপ্রিয় অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। কারণ, তিনি কোভিড–১৯ সম্পর্কিত সুরক্ষাবিধি মানেননি। নিয়মনীতি সবার জন্যই সমান। তাই সবাইকে নিয়ম মানার অনুরোধ করা হচ্ছে। এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়তে হবে।’
এরপরই মুম্বাইয়ের সংবাদমাধ্যমগুলো গওহর খানের দিকে আঙুল তোলে। সেই প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন ওঠে, করোনা আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও আইসোলেশনে না গিয়ে কেন শুটিংয়ে গিয়েছিলেন গওহর? এরপরই গওহর খানের টিম আওয়াজ তোলে। এক বিবৃতিতে তাঁরা জানায়, এ অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন। বিএমসির টুইট দেখে গওহর খানের কথা মনে করার কোনো কারণ নেই। তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।