নির্ধারিত গতির সীমা লঙ্ঘণে কঠোর শাস্তির ঘোষণায় বাইক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং দুর্নীতিমুক্ত টিকেটিং ব্যবস্থা দাবি করেছে সেভ দ্য রোড।
৪ জুলাই আকাশ-সড়ক-রেল ও নৌপথ দুর্ঘটনামুক্ত রাখার লক্ষ্যে একমাত্র স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন সেভ দ্য রোডের চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনাম, মহাসচিব শান্তা ফারজানা, প্রতিষ্ঠাতা ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী, ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ রায়, শওকত হোসেন, আইয়ুব রানা, জিয়াউর রহমান জিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিদুল মল্লিক এক বিবৃতিতে এই দাবি জানিয়ে আরো বলেন, প্রয়োজনে জরিমানা বৃদ্ধি, দন্ড বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন দেয়া হোক, তবু বাইক চালিয়ে পদ্মা সেতু পারাপারসহ সারাদেশে মোটর বাইক চলাচলের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হোক।
তা না হলে থলে বিড়াল বেরিয়ে আসবে, কোন কোন পরিবহনের কোন কোন মালিকের ইন্ধনে বিআরটিএর চেয়ারম্যান এমন নিকৃষ্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছে; তা শে^তপত্র আকারে দেশ ও জাতির সামনে নিয়ে আসা হবে।
সেভ দ্য রোড নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেন, সারাদেশে গণমাধ্যমের পাশাপাশি সেভ দ্য রোড-এর কর্মীরা সরাসরি বাস-লঞ্চ ও রেল স্টেশনে গিয়ে দেখছে- টিকিট নিয়ে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়ছে সাধারণ মানুষ।
সেই সমস্যার পেছনেও রয়েছে আমলাতান্ত্রিক দুর্নীতি। এই দুর্নীতি না থাকলে এবং পরিকল্পনা করে রেল-বাস-লঞ্চ এবং বিমান ব্যবস্থা পরিচালনা করলেই ঈদযাত্রা হতে পারে দুর্ঘটনা-বিড়ম্বনা ও যানজটমুক্ত।
মোটর সাইকেলের রাইডারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সেভ দ্য রোড-এর মহাসচিব বলেছেন, যদি বিআরটিএ বিশের সকল দেশের আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে যে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়েছে, তা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রত্যাহার না করে; তাহলে সারাদেশে ৩৭ লক্ষ ৫১ হাজার বাইকারদের প্রতিনিধিদেরকে নিয়ে প্রথমে ১ ঘন্টার ‘চাকা বন্ধ’ কর্মসূচি এবং পরে বাইকার সমাবেশ করবে সেভ দ্য রোড।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।