দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রেজাউল আশরাফ জিন্নাহকে দলীয় পদ থেকে অব্যহতি প্রদান করা হয়েছে।

রোববার (৩ জুলাই) বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের যৌথ বর্ধিত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরআগে তাকে কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করলে তার জবাব প্রদানে অস্বীকৃতি জানালে গঠনতন্ত্রের ৪৭ এর ৬ ও ৯ ধারা মোতাবেক তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা’র সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক আনিছুর রহমানের সঞ্চানলায় যৌথ বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক, সরফুল হক উজ্জ্বল, সাবেক সাধারন সম্পাদক শফিউল আলম ছবি, যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক মুকুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আনন্দ কুমার, মামুনুর রশিদ, দপ্তর সম্পাদক এফ ফারুক কামাল, আওয়ামী লীগ নেতা স্বপন চন্দ্র মহন্ত, মহসীন আলী, শামিম শেখ, বকুল হোসেন, শাহিরুল ইসলাম, কালিপদ প্রামানিক, মোজাম্মেল হক, মোখলেছুর রহমান মিন্টু, গোলাম মোস্তফা গামা, মোরশেদুল বারী, সাধারন মিজানুর রহমান, নিকুঞ্জ কুমার, মোফাজ্জল হোসেন, জুলফিকার আলী, তারেক হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি দুলাল চন্দ্র মহন্ত, উপজেলা স্বে”ছাসেবক লীগের সভাপতি আবু সাঈদ, সাধারন সম্পাদক কামরুল হাসান সবুজ, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি এনামুল হক, সাধারন সম্পাদক আরাফাত হোসেন রাজ, উপজেলা কৃষকলীগের সাধরন সম্পাদক সাঈদ রায়হান মানিক, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক শুভ আহমেদ প্রমুখ।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১ জুন নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত সভায় বক্তৃতা শেষে ভাটগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’ না বলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা এলএলবি প্রতিবাদ করে।

তার প্রেক্ষিতে নন্দীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম কামাল, জয় বাংলা স্লোগান না বললে কি জেল-জরিমানা হবে ? এই মর্মে মন্তব্য করে। এরপর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ তাদের বক্তব্যকে সমর্থন করে বলতে থাকে, জয় বাংলা বলতেই হবে এমন কোন প্রজ্ঞাপন কি জারি হয়েছে? কথপোকথনের এক পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদ্বয়ের সমর্থনে রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে এবং অশোভন আচরণ করে।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ৪ জুন নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের যৌথ বর্ধিত সভায় রেজাউল আশরাফ জিন্নাহর বিরুদ্ধে সর্বসম্মতিক্রমে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এমতাবস্থায় কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না এই মর্মে পত্রপ্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।

নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা বলেন, দুই ইউপি চেয়ারম্যান বক্তব্য শেষে জয়বাংলা স্লোগানগান না দেওয়ায় প্রতিবাদ করেছি। উপজেলা চেয়ারম্যান জিন্নাহ ‘জয়বাংলা’ স্লোগানের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় উপস্থিত দলীয় নেতৃবৃন্দ প্রতিবাদ করেছে। তাকে কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করলে তার জবাব প্রদানে অস্বীকৃতি জানালে যৌথ বর্ধিত সভার সিদ্ধান্তমতে গঠনতন্ত্রের ৪৭ এর ৬ ও ৯ ধারা মোতাবেক তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।

এবিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ বলেন, আমার সঙ্গে যেইটা করা হচ্ছে তা নোংরামি। আগেই আমি বলেছি এ শোকজের জবাব দিবোনা।