সোহেল হোসেন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জ উপজেলাতে সামান্য বৃষ্টিতে নাকাল পৌরবাসী। বর্ষাকালসহ অন্য সময়ে অল্প বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। প্রতি বছরই বর্ষাকালসহ অন্য সময়ে বৃষ্টি হলে রামগঞ্জ পৌরসভার বেশির ভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এবার বর্ষা মৌসুমেও একাধিকবার জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম দূর্ভোগে পৌরবাসী।

রামগঞ্জ পৌরসভাকে বলা হয় প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা। কিন্তু বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা, সড়কের বেহাল দশা, যেখানে সেখানে সিএনজি স্ট্যান্ড, অটোরিকশার ছড়াছড়ি, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা। এসব দেখলে পৌরসভাকে চতুর্থ শ্রেণীর পৌরসভা মনে হয়।

পৌর শহরের ঐতিহ্যবাহী সোনাপুর বাজারের অবস্থা একিবারেই বেহাল দশা। বৃষ্টি হলে সোনাপুর উত্তর বাজার, পশ্চিম বাজার, মাছ বাজার, বড় মসজিদ সংলগ্ন বাজার, মুচি বাজার, হলুদ বাজারসহ কয়েকটি বাজারে হাঁটু পরিমাণ পানি জমে যায়। এতে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী এবং পথচারীদের অবস্থা মহামারী অবস্থায় পরিণত হয়।

স্থানয় ভুক্তভুগীরা বলছেন, সোনাপুর বাজার থেকে সর্বোচ্চ ট্যক্স প্রদান করলেও এই বাজারের মানুষ অবহেলিত রয়েই গেছে। আমরা অভিযোগ করে আসছি কিন্তু পৌরসভার মেয়র মহোদয় বিষয় গুলো নিয়ে কর্ণপাত করেননা। বৃষ্টি হলে সিলেটের মতো, রামগতি
চর আলেকজান্ডার, বিবিরহাট

চরকালকিনি, চরমার্টিন মতিরহাট, মাতাব্বরহাট, চর গজারিয়া, গাজী, অবস্থায় পরিণয় হয় আমাদের এই এলাকা। এদিকে এই বাজারের ড্রেনের অবস্থা বেগতিক, ড্রেন দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে না। নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ এবং অসুস্থ হয়ে পড়ছে স্থানীয়রা।

বাজারের ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক ভিপি রফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন পৌর সভার মেয়র মহোদয়কে অবগত করেছি বাজারের ড্রেনের বিষয়ে। উনি আশ্বাস দিয়েছেন মাছ বাজারের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দিবেন।

সোনাপুর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল মাল বলেন, পৌর মেয়র মহোদয়কে অবগত করেছি বারবার। উনি উদ্যোগ না নিলে আমি আগামী মাসের মধ্যে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনের ব্যবস্থা করে দিব।

পৌর মেয়র আবুল খায়ের পাটোয়ারী বলেন, বাজেট থাকেনা তাই ব্যবস্থা নেওয়া যায়না। এবারে বাজারের পানি নিষ্কাশনের বিষয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি