জন্মদিনটা রাঙাতে পারলেন না তামিম ইকবাল। অধিনায়কের ৩২তম জন্মদিনে বাংলাদেশ অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে নিউজিল্যান্ডের কাছে।
লড়াকু পুঁজি না পাওয়ায় কিউই ব্যাটসম্যানদের আটকানো কঠিন হয়ে দাঁড়ায় মোস্তাফিজুর রহমান-তাসকিন আহমেদদের। সেই সুযোগে শুরু থেকে ব্যাটে ঝড় তুলে দলের জয়টা একেবারে সহজ করে দিয়ে যান কিউই ওপেনার মার্টিন গাপটিল। তাসকিনের বলে কট বিহাইন্ড হওয়ার আগে ১৯ বলে ৩ চার ও ৪ ছয়ে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
গাপটিলের বিদায়ের পর ওয়ানডেতে অভিষেক হওয়া ডেভন কনওয়েকে নিয়ে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান ওপেনার হেনরি নিকলস। ব্যক্তিগত ২৭ রানে হাসান মাহমুদের বলে মাহমুদউল্লাহর হাতে বন্দী হয়ে কনওয়ে ফিরলে বাকি কাজটা সারেন আরেক অভিষিক্ত উইল ইয়ং (১১)। নিকলস অপরাজিত ছিলেন ৫৩ বলে ৬ চারে ৪৯ রান করে।
কথায় আছে, ‘সকালের সুর্য সবসময় দিনের সঠিক পূর্বাভাস দেয় না’। তার জ্বলন্ত উদাহরণ হয়ে থাকলো বাংলাদেশের ইনিংস।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ট্রেন্ট বোল্টের করা ইনিংসের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলের ও নিজের রানের খাতা খুলেছিলেন ‘বার্থ-ডে বয়’ তামিম। কিন্তু এরপর আচম্বিতে মেঘে ঢেকে গেলো গণগণে সুর্যটা।
টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় মাত্র ১৩১ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। দলীয় শতরান পাওয়ার আগেই ৭ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপদে পড়ে টাইগাররা। বিপর্যয়ের সময় মাহমুউদউল্লাহ রিয়াদ যা একটু ভরসা হয়ে ওঠেছিলেন। ৫৪ বলে ১ চার ও ১ ছয়ে ২৭ রান করেন তিনি।
কিন্তু মাহমুদউল্লাহ দলীয় ১২৫ রানে সাজঘরে ফেরার পর স্কোরবোর্ডে আর ৬ রান জমা পড়তেই শেষ ২ উইকেট তাসকিন (১০) ও হাসান মাহমু্দকে (১) হারায় বাংলাদেশ। মোস্তাফিজ অপরাজিত ছিলেন ব্যক্তিগত ১ রানে ।
এর আগে কিউই বোলারদের সামনে অসহায় টাইগাররা ছিল আসা-যাওয়ার মাঝে। বোল্টের করা ইনিংসের চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফিরেন তামিম। টাইগার ওপেনার ১৫ বলে করেছেন ১৩ রান। তামিমের বিদায়ের পরপরই একই ওভারের চতুর্থ বলে কনওয়ের হাতে বন্দী হয়ে বিদায় নেন সৌম্য সরকার (০)।
জীবন পেয়েও ইনিংসটাকে বড় করতে পারেননি আরেক ওপেনার লিটন দাশ। তৃতীয় উইকেট হিসেবে বিদায় নেন তিনি। তার ৩৬ বলে ১৯ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১ চারে।
বিপদের সময় বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি কেউ। তবে দাঁড়াতে চেষ্টা করেছিলেন মুশফিকুর রহিম (২৩)। কিন্তু ৪৯ বল মোকাবেলা করেও তিনি ব্যর্থ হোন ব্যাট হাতে। এরপর রান আউটের শিকার হোন মোহাম্মদ মিঠুন (৯)। তার বিদায়ের পর জোড়া আঘাত হেনে মেহেদী হাসান মিরাজ (১) ও ওয়ানডেতে অভিষেক হওয়া মেহদেী হাসানকে (১৪) সাজঘরে ফেরান মিচেল স্যান্টনার।
কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন বোল্ট। দু’টি করে উইকেট ভাগাভাগি করেছেন জিমি নিশাম ও স্যান্টনার।
এই জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড। ম্যাচ সেরা হয়েছেন বোল্ট।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।