রাকিবুল হাসান, মনপুরা প্রতিনিধি: আর মাত্র কয়েক দিন।আগামী ১০ জুলাই ত্যাগের মহিমায় উদভাসিত হয়ে পশু কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহকে রাজি খুশি করার স্বার্থে মুসলমানদের দ্বিতীয় ঈদুল আজহা।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে সারাদেশে পশু কোরবানি করা হবে।আর সেই পশু বিক্রয় করার জন্য মনপুরা শুরু হয়ে গরুর হাট।এতে হাট গুলোতে বেশ লোকের উপস্থিত ও সমাগম দেখা যায়।শুক্রবার (৮জুলাই) কোড়ালিয়া গরু হাটে দেখা যায়,
পযাপ্ত গরু রয়েছে হাটে।অনেকে দাম জিজ্ঞেস করে চলে যায়।আবার মাংসের দোকানে যেভাবে কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি হয় সেভাবে কোরবানির হাটে গরুর দাম বলছেন ক্রেতারা। তবে খামারি ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোরবানির জন্য লালন-পালন করা গরুর এই দরে বিক্রি করতে গেলে তাদের লোকসান গুণতে হবে।
বাংলাবাজার, কোড়ালিয়া, ফকিরহাটসহ পুরো হাট জুড়ে গরু থাকলে বিক্রি তুলনামূলক কম বলে জানিয়েছেন বিক্রেতা ও হাটের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা।
বাংলাবাজার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা একজন সময়ের আলো কে বলেন, ‘হাটে অনেক ক্রেতা আসছেন। ঘুরে ঘুরে গরু দেখছেন। তবে সেই তুলনায় বিক্রি একেবারেই কম। এই হাটে গত রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২০টি গরু বিক্রি হয়েছে। এতো কম গরু বিক্রি এর আগে হয়নি।’
বিক্রেতাদের অভিযোগ, হাটে আসা ক্রেতারা বাজারে গরু মাংসের কেজি হিসাবে দরদাম করছেন। তারা প্রতি কেজি ৭০০ টাকা হিসাব করে দাম হাঁকছেন।
হাটে গরু নিয়ে আসা বিক্রেতা নিজাম ব্যাপারী জানন,৮ টি গরু নিয়ে হাটে এসেছে। তাদের এবারের বেচাকেনা এখন পর্যন্ত ততটা ভালো হয়নি। গরুর দাম বেশি অজুহাত দিয়ে ক্রেতা চলে যায়। এর কারণ তিনি উল্লেখ করে বলেন,
এবারের গরু লালন পালন এবং খাবারের খরচ অনেক বেশি, তাই গরুর দামটা একটু বেশি।এবং বাহির থেকে কোন গরু মনপুরা প্রবেশ করতে পারিনি। তাই আমাদের মত স্থানীয় খামারীদের গরু বেচা-কেনা ভাল হবে।
মনপুরা খামারির হাফেজ হযরত মাওলানা শিহাব উদ্দিন মনপুরী সাথে কথা হলে তিনি জানান,উপকূল মনপুরা এগ্রো ফার্ম নামে তার একটি গরু খামারে আছে। সেখানে এবার কোরবানি জন্য ৭টি গরু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে ছোট গরুর চাহিদা মোটামুটি থাকলেও বড় গরুর কোন চাহিদা নেই।এতে সে বিপাকে পড়তে হচ্ছে গরু নিয়ে।তার খামারে এখন পযর্ন্ত ৭ মন ওজনের গরু রয়েছে।
তবে সেই গরুর জন্য কোন ক্রেতা এখন তার খামারে যায়নি। মনপুরা প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কোন কর্মকর্তা আমাদের এই গরু মোটাতাজা ও বিক্রয়ের জন্য কোন সহযোগীতা করে নাই।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিক্রি কম হলেও অনেক লোক হাটে গরু দেখতে আসছেন।অনেকে বাজার সম্পর্কে ধারণা নিয়ে চলে যায়। মূলত গরুর দাম সম্পর্কে ধারণা পেতেই হাটে এসেছেন বলে জানান তারা।
তবে মনপুরা একক ভাবে কোরবানি কমেই হয়। বেশির ভাগ ৭ ভাগেই কোরবানি দিয়ে থাকেন। অনেকে ভাগিদার এর সাথে আলোচনা করে ঈদে আগে গরু ক্রয় করবে বলে এখনো গরু ক্রয় করছেনা।তবে মনপুরা চাহিদার তুলনায় অনেক গরু রয়ে।দাম ও হাতে নাগালে।
হাটে আসা জসিম এর সাথে কথা হলে সময়ের আলোকে তিনি বলেন, ‘আমরা ৭ ভাগিদার কোরবানির ২ দিন আগে গরু কিনব। এখন ধারণা নিতে এসেছি।
এ বছর গরুর দাম তুলনামূলকভাবে বেশি বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, ‘গত বছর যে দামে কিনেছি সেটা মাথায় রেখেই এবার আমরা দরদাম করছি। তিনি আরো বলেন যে গরু গত বছর ৬০ হাজারে কিনেছি সে গরু এ বছর ৭০ হাজার পর্যন্ত দিতে পারি। কিন্তু বিক্রেতারা ৮৫ হাজার থেকে লাখ টাকা দাম হাঁকছেন।’
বাংলাবাজার গরু বাজার ইজারাদার জামাল বলেন, মনপুরা সাপ্তাহিক হাট বসে।গত হাট থেকে এখন পযর্ন্ত ২০ টি গরু বিক্রয় হয়েছে। তবে ঈদের আগের দিন সবায় তাদের পযন্ত মত গরু সংগ্রহ করবে।তবে এবার হাটগুলোতে প্রচুর ক্রেতারা আসছেন। কিন্তু দামে না মেলায় বিক্রি কম হচ্ছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।