সমাজে অপরাধপ্রবণতা বেড়েছে। সামাজিক অপরাধের পাশাপাশি পারিবারিক অপরাধের মাত্রাও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। সমাজজীবন থেকে সামাজিক বন্ধনগুলো ক্রমেই আলগা হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পারিবারিক বন্ধন শিথিল হচ্ছে। ক্ষয়ে যাচ্ছে সব ধরনের মূল্যবোধও। এরই কুফল পড়তে শুরু করেছে সমাজের সর্বত্র।
ফলে সামান্য কারণেই ঘটে যাচ্ছে খুনাখুনি। বাড়ছে নিষ্ঠুর ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা। আমাদের সবারই প্রত্যাশা শান্তিপূর্ণ, মূল্যবোধ ও পারস্পরিক সম্মানবোধসম্পন্ন একটি সুন্দর সমাজ। অথচ ঘটছে উল্টোটা। সামাজিক অপরাধ ক্রমেই বিস্তৃত হচ্ছে। মানুষের নিরাপত্তাবোধ হারিয়ে যাচ্ছে। বাইরে চলাচল তো নয়ই, ঘরে বসবাসও নিরাপদ থাকছে না। সামাজিক এই অস্থিরতা ও পারিবারিক নৃশংসতা নিরসনে সমন্বিত অনেক উদ্যোগ প্রয়োজন। কিন্তু তেমন কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।
জাতীয় ও অনলাইনেই প্রকাশিত নৃশংস হত্যাকাণ্ডের খবরগুলো যেন সমাজের এই অধোগতিকেই ইঙ্গিত করছে। দেশে মূল্যবোধের এমন অবক্ষয় এক দিনে হয়নি। সামাজিক অসহিষ্ণুতাই ক্রমবর্ধমান অপরাধপ্রবণতার জন্য দায়ী। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার সহজ কোনো পথ খোলা আছে বলে মনে হয় না। যখনই কোনো অপরাধের ঘটনা ঘটে, তখন প্রচলিত আইনের সহযোগিতা নেওয়া হয়। অপরাধ যেই করুক, তার কঠোর শাস্তিই কাম্য। এসব ঘটনা থেকে এটা স্পষ্ট হচ্ছে যে নির্মমতা-নৃশংসতা দিন দিন বাড়ছে।
সমাজবিজ্ঞানীদের মতে, অপরাধের শাস্তি নিশ্চিত করা যায় না বলেই আমাদের সমাজে অপরাধ এক ভয়ানক রূপ নিচ্ছে। জঘন্য অপরাধীরা সমাজকে কলুষিত করছে। মানুষের মানবতাবোধকেও লাঞ্ছিত করছে।আমরা চাই, দ্রুততম সময়ে এসব নৃশংসতার বিচার সম্পন্ন হোক এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।
সুমন চক্রবর্তী প্রকাশক ও সম্পাদক,দৈনিক কলম কথা
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।