ঈদুল আজহার জামাত ও উদযাপনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের নাশকতা বা অপ্রীতিকর ঘটনার তথ্য নেই। তারপরেও প্রস্তুতি হিসেবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। শনিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) কর্নেল মো. কামরুল হাসান।মো. কামরুল হাসান বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রত্যেক বছরের মতো এবারও র্যাব বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সব ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশজুড়ে পর্যাপ্ত সংখ্যক র্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
ঈদে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশব্যাপী গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঈদগাহসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। এছাড়া থাকবে র্যাবের স্ট্রাইকিং রিজার্ভ ফোর্স, ফুট ও মোবাইল পেট্রল, ভেহিক্যাল স্ক্যানার, অবজারভেশন পোস্ট, চেক পোস্ট এবং সিসিটিভি মনিটরিং।
তিনি বলেন, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঈদগাহে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ ঈদগাহে নিরাপত্তা সুইপিং করা হবে। পর্যাপ্ত ইউনিফর্ম ও সাদা পোশাকে টহল থাকবে। পাশাপাশি র্যাবের স্পেশাল ফোর্স মোতায়েন করা হবে।
যেকোন উদ্ভুত পরিস্থিতির জন্য সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। যেকোন নাশকতা বা হামলা মোকাবিলায় র্যাবের স্পেশাল ফোর্সের কমান্ডো টিম ও এয়ার উইংয়ের হেলিকপ্টার সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ঢাকা ছাড়াও সব মেট্রোপলিটন শহর, জেলা শহর ও উপজেলা পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ঈদগাহ রাস্তায় চেকপোস্ট স্থাপন করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ জেলা শহরে যেকোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফোর্স রিজার্ভ থাকবে। র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, গোয়েন্দা তথ্য সমন্বয় করে নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। স্পেসিফিক কোনও তথ্য থাকলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। স্পেসিফিক কোনও তথ্য নেই। বড় বড় জামাত যেখানে অনুষ্ঠিত হবে, সেখানে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হবে। সর্বোচ্চ সতর্কতা নিয়ে কাজ করবে র্যাব। আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না।
তিনি বলেন, গোয়েন্দা নজরদারি ও সাইবার জগতে মনিটরিং বৃদ্ধির মাধ্যমে জঙ্গিদের যেকোনও ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিতে প্রস্তুত রয়েছে র্যাব। ঢাকা শহরসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঈদগাহে (জাতীয় ঈদগাহ, শোলাকিয়া ঈদগাহ ও দিনাজপুর বড় ঈদগাহ) নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ ঈদগাহে নিরাপত্তা সুইপিং করা হবে।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, দুই বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে করোনা মহামারির প্রকোপ চলছে। আমি সবার প্রতি স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। জাতীয় ঈদগাহে পর্যাপ্ত ইউনিফর্ম ও সাদা পোশাকে টহল থাকবে। পাশাপাশি র্যাব স্পেশাল ফোর্স মোতায়েন করবে। জাতীয় ঈদগাহে ডগ স্কোয়াড ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট কর্তৃক নিরাপত্তা সুইপিং করা হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।