নারী ক্ষমতায়নে সরব এই বিশ্বে চিকিৎসা-সেবা সেক্টরের নারীরা পুরুষের চেয়ে ২৫% কম মজুরি পাচ্ছেন। একই ধরনের কাজ করেও মজুরির ক্ষেত্রে এই বৈষম্যের নগ্নচিত্র উদঘাটিত হয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার বার্ষিক প্রতিবেদনে।
১৩ জুলাই জাতিসংঘের এই দুটি সংস্থার গবেষণা প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশ করা হয়। অর্থনৈতিক সেক্টরের অন্য শাখাগুলোতেও একই ধরনের সার্ভিস দেয়া সত্বেও পুরুষের চেয়ে নারীরা কম মজুরি পাচ্ছেন। তবে চিকিৎসা-সেবা সেক্টরের বৈষম্য সবচেয়ে বেশি। অথচ করোনা মহামারিকালে নিজেদের জীবন বাজি রেখে পুরুষের তুলনায় নারীরা বেশী সক্রিয় ছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে। সভ্য সমাজের দাবিদার দেশসমূহেও কেন এমন বৈষম্য বিরাজ করছে-এমন প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট কোন জবাব পাওয়া যায়নি।
গবেষণা কারিরা মনে করেন, এটি নারীর প্রতি বৈরী মনোভাবেরই প্রকাশ হতে পারে। অথচ সারাবিশ্বে স্বাস্থ্য-সেবা সেক্টরের মোট কর্মচারির ৭০% হলেন নারী। এই প্রতিবেদনে আরো মন্তব্য করা হয়েছে যে, যে সব সেক্টরে নারী কর্মচারির সংখ্যা বেশি-সেগুলোতেই বেতনের পরিমাণ কম। অর্থাৎ নারীরা কেন পুরুষের চেয়ে বেশি বেতন পাবেন-এমন একটি বৈষম্যমূলক মনোভাব রয়েছে ঐসকল সংস্থার অধিকর্তার মধ্যে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।