অভয়নগরে ১৩ কেজি গাঁজাসহ আল মামুন বিশ্বাসকে (২৫) আটক করা হয়েছে। বাদশা নামে অপর এক মাদক কারবারি পালিয়ে গেছে। রবিবার ভোররাতে উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের বাগদহ গ্রামের পশ্চিমপাড়া থেকে গাঁজাসহ মামুনকে আটক করে অভয়নগর থানা পুলিশ।
আটক মামুন বাগদহ গ্রামের চিহ্নিত মাদক কারবারি ও একাধিক মামলার আসামি আতিয়ার বিশ্বাসের ছেলে। সে চলিশিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিল। উদ্ধারকৃত গাঁজার মূল্য প্রায় চার লাখ টাকা। অভয়নগর থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। অভয়নগর থানা সূত্র জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার আনুমানিক ভোর ৪ টার সময় বাগদহ পশ্চিমপাড়ায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানের এক পর্যায়ে আতিয়ার বিশ্বাসের বাড়ি সংলগ্ন মশিয়ার রহমানের বাড়ির সামনে দুই বান্ডিল পলিথিনে মোড়ানো গাঁজাসহ মামুনকে আটক করা হয়। অপর দুই বান্ডিল গাঁজা ফেলে পালিয়ে যায় বাদশা।
উদ্ধারকৃত চার বান্ডিল গাঁজাসহ মামুনকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। চলিশিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রজিবুল ইসলাম মোল্যা জানান, আল মামুন বিশ্বাস চলিশিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক কমিটির সদস্য ছিল। বর্তমান কমিটি না থাকায় সে বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করে। বাগদহ পশ্চিমপাড়াবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে আতিয়ার বিশ্বাস, তাঁর ছেলে মামুন বিশ্বাস, একই গ্রামের হামিদ বিশ্বাস, উজ্জ্বল হোসেন, বাদশা মিয়া ও আব্দুর রাজ্জাক বিশ্বাস উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গাঁজা ও ইয়াবা পাইকারি সরবরাহ করে থাকেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে বার বার আটক হলেও তাঁরা জামিনে বেরিয়ে এসে পূনরায় শুরু করে মাদক ব্যবসা। এসব মাদক কারবারিদের দৌরাত্যে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিৎ। এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, ১৩ কেজি ২০০ গ্রাম গাঁজাসহ মামুন নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। পলাতক মাদক কারবারি বাদশাকে আটকের জন্য পুলিশি অভিযান চলছে। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান আছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।