খুলনার কয়রায় মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে মারধরের ঘটনায় সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম বাহারুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৬ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বজলুর রশীদ। এ ছাড়া পুলিশ ঘটনায় জড়িত ইউনুসুর রহমান ও নিয়াজ নামের আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

মারধরের শিকার অধ্যক্ষের নাম মাসুদুর রহমান। তিনি কয়রা উত্তরচক আমিনিয়া বহুমুখি কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। ‘মাদ্রসা পরিচালনা পর্ষদ’ গঠনকে কেন্দ্র করে ওই চেয়ারম্যানের নির্দেশে তাকে দু’দফায় মারধর করা হয়েছে জানিয়ে তিনি খুলনা জেলা প্রশাসন ও কয়রা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। একই ঘটনায় অধ্যক্ষের স্ত্রী সাদিয়া সুলতানা বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বাহারুল ইসলামসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন।

জানা যায়, ইউপি চেয়ারম্যান বাহারুল ইসলামকে মাদ্রাসার সভাপতি না করায় ১৮ জুলাই দুপুরে তার লোকজন মাদ্রাসায় ঢুকে অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমানকে মারপিট করেন। পরে তাকে মোটরসাইকেলে তুলে ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানের কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতেই দ্বিতীয় দফায় তাকে পেটানো হয়। এতে তার চোখে, ঘাড় কানে গুরুতর জখম হয়।

এদিকে খবর পেয়ে অধ্যক্ষের পরিবার ও কয়রা থানার পুলিশ উপস্থিত গিয়ে মাসুদুর রহমানকে উদ্ধার করেন। অসুস্থ শিক্ষককে পরিবারের সদস্যরা প্রথমে কয়রার জায়গীর মহল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ও পরে খুলনায় নিয়ে চিকিৎসা দেন।

অপরদিকে অভিযোগ পাওয়ার পর জেলা প্রশাসক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

কয়রা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম এস দোহা বলেন, অধ্যক্ষের স্ত্রী সাদিয়া সুলতানা বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। পুলিশ ও র‌্যাব এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে।