প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করতে এলেও বিএনপিকে বাধা দেয়া হবে না। তাদের বসিয়ে চা খাওয়ানো হবে।
তবে বোমাবাজি ও ভাঙচুর করলে বাধা দেয়া হবে, উপযুক্ত জবাব তারা পাবে। শনিবার (২৩ জুলাই) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সঙ্গে সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতাদের যৌথ সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেছেন।
গণভবন থেকে সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি তো বলে দিয়েছি- তারা (বিএনপি) যদি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করতে আসে, পুলিশ যেন বাধা না দেয়।
বিশেষ করে বাংলামটরে বাধা দেয়া সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছি। আসুক না হেঁটে হেঁটে যতদূর আসতে পারে। আমি বসাব, চা খাওয়াব। কথা বলতে চাইলে শুনব। কারণ আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে কোনো বাধা নেই।
কিন্তু তারা সেটা তো করেই যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘তারা কথা যত পারুক বলুক। যদিও সারাদিন কথা বলার পর বলে আমাদের কথা বলতে দেয় না। মিটিং করে লোক হয় না, বলে আমাদের লোক আসতে দেয় না।
অভিযোগ তো তারা করে। কিন্তু তাদের কাছে লোক আসবে কেন? কোন আশায় আসবে?’
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকা মানেই দুর্নীতি, সন্ত্রাস, অর্থপাচার, মানবপাচার… এসব। কারণ যারা মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় আসে, তারাই এসবের সঙ্গে যুক্ত থাকে। তারা তো দেশের জন্য কাজ করবে না।
নির্বাচন নিয়ে আমি একটি কথাই বলব, বাংলাদেশে নির্বাচনে যদি কোনো শৃঙ্খলা এসে থাকে, তবে সেটাও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই এসেছে।
‘আমরাই ছবিসহ ভোটার তালিকা করেছি যাতে কেউ জাল ভোট দিতে না পারে। বিএনপির আমলে এক কোটি ভুয়া ভোটার অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। নির্বাচনে আমরাই স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের ব্যবস্থা করেছি যাতে ভোটের আগেই সিল মেরে বাক্স ভরতে না পারে কেউ’, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।