কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকাণ্ডের পরের চিত্র। আজ মঙ্গলবার সকালে


কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দুই শিশুসহ ৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ফায়ারম্যান আরশাদুল ইসলাম প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

কাল যেখানে ঘর ছিল, আজ সেখানে ছাই। আগুনে সর্বশান্ত এক রোহিঙ্গা বসে আছে ধ্বংসস্তূপের পাশে।

কাল যেখানে ঘর ছিল, আজ সেখানে ছাই। আগুনে সর্বশান্ত এক রোহিঙ্গা বসে আছে ধ্বংসস্তূপের পাশে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল সোমবার বেলা তিনটার দিকে বালুখালী ৮ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের একটি ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। একপর্যায়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে শিবির লাগোয়া ৮-ডব্লিউ ও এইচ, ৯ ও ১১ নম্বর শিবিরেও। রাত পৌনে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছুদ্দৌজা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে আগুনের ঘটনায় প্রায় ১০ হাজার ঘর পুড়ে গেছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রোহিঙ্গারা বলেন, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় লোকজন ও রোহিঙ্গারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। খবর পেয়ে রামু, উখিয়া, টেকনাফ ও কক্সবাজার থেকে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ, পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।