উহান শহরে আবারো লকডাউন দিয়েছে চীনের সরকার। নতুন করে শহরটির জিয়াংজিয়া এলাকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত চারজন রোগী শনাক্ত হওয়ার পরপরই লকডাউন ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) এক প্রতিবেদনে একথা জানায় বিবিসি ও আল জাজিরা। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে বিশ্বে সর্বপ্রথম চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়।
করোনাভাইরাসের তথ্য প্রদানকরা সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের হিসাব অনুযায়ী ভাইরাসজনিত এ রোগটিতে বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৫১ হাজার ৫৭৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৬৪ লাখ ১০ হাজার ৫৪৮ জন মানুষ। সবচেয়ে বেশি মারা গেছে যুক্তরাষ্ট্রে।
সেখানে ১০ লাখ ৫৩ হাজার ৯৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপরই ভারতের অবস্থান। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে ৫ লাখ ২৬ হাজার ১৬৭ জন মারা গেছে। চীনে ২০১৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা ৫ হাজার ২২৬ জন।
প্রথম থেকেই চীন করোনা মোকাবিলায় ‘জিরো নীতি’ অবলম্বন করে আসছে। এরই অংশ হিসেবে দেশটি গণ পরীক্ষা, কঠোর বিচ্ছিন্নতা নিয়ম এবং স্থানীয় লকডাউনের মতো পদক্ষেপ নিতে দেরি করছে না।
এক কোটি ২০ লাখ মানুষের শহর উহানে নিয়মিত করোনার পরীক্ষা চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। দুই দিন আগে সেখানে উপসর্গহীন দুই করোনা রোগী শনাক্ত হয়। নতুন করে আরো দুই করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পরপরই লকডাউন ঘোষণা করে চীন সরকার।
একই সঙ্গে তিনদিনের জন্য শহরটির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গণ পরিবহনের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষদের বাড়ি থেকে বাইরে যেতে ও কাউকে ওই এলাকায় যাওয়ার ব্যপারেও নিষেধ করা হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি, আল-জাজিরা
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।