ট্রাকে পদ্মা সেতু হয়ে মাত্র ৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকায় আসছে ঝালকাঠির পেয়ারা। কম সময়ে ঢাকার বাজারে পেয়ারা সরবরাহ করতে পেরে খুশি পাইকাররা। আবার চাষিরাও ভালো দামে বিক্রি করতে পারছেন পেয়ারা।

জানা গেছে, ঝালকাঠি সদর উপজেলা, পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি ও বরিশালের বানারিপাড়া উপজেলার ৫৫ গ্রাম নিয়ে গড়ে উঠেছে মিষ্টি পেয়ারা রাজ্য। প্রতিবছর আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র মাস এলেই পেয়ারার কারণে পাল্টে যায় এসব অঞ্চলের চিত্র।

পেয়ারা বেচাকেনার জন্য ওইসব এলাকার খালে রয়েছে ভাসমান বাজারও। প্রতিদিন কয়েকশ নৌকায় চাষিরা পেয়ারা বিক্রি করতে আসেন। ট্রাক ও বড় বড় ট্রলার নিয়ে আসেন পাইকাররা। আবার পর্যটকরাও কিনে নেন এখানকার পেয়ারা। পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ায় আরিচা ফেরিঘাটের বিড়ম্বনা না থাকায় পাইকার ও পর্যটকদের আগমন প্রতিবছরের চেয়ে এ বছর বেশি।

ফলে এ অঞ্চলের শুধু পেয়ারাই নয়, অন্য কৃষি পণ্যও ঢাকাসহ সারাদেশে অল্প সময়ে সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, এ অঞ্চলের ‘সবচেয়ে বড়’ ভাসমান হাট সদর উপজেলার ভীমরুলীতে। যা সারা দেশেই অনন্য। এছাড়া পাশের পিরোজপুরের স্বরূপকাঠির (নেছারাবাদ) আটঘর, কুড়িয়ানা, আতা, ঝালকাঠির মাদ্রা। এসবই পিরোজপুর সন্ধ্যা নদী থেকে বয়ে আসা একই খাল পাড়ে অবস্থিত।

এখানকার আঁকাবাঁকা খালের দুপাড়ে হাজার হাজার একর জমিতে রয়েছে পেয়ারা বাগান। জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, ঝালকাঠির ব্রান্ড পণ্য পেয়ারা ও শীতলপাটি এতদিনের স্বপ্ন পূরণের দ্বার উন্মোচন হয়েছে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে। কারণ বিশ্বের সব পর্যটকরা এখন সরাসরি ঢাকা বিমানবন্দরে নেমে ঝালকাঠি এসে পেয়ারা রাজ্যের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবে। সরাসরি ন্যায্যমূল্যে বেশি করে কিনে নিতে পারবে শীতলপাটি।