![বোয়ালমারীতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরটি নারী ও নেশার আসর](https://dailykolomkotha.com/wp-content/uploads/2022/08/dkk345-10.jpg)
বোয়ালমারীতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরটি নারী ও নেশার আসর
বোয়ালমারীতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরটি নারী ও নেশার আসর
তৈয়বুর রহমান কিশোর, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের খামারপাড়া গ্রামের আশ্রায়ণ প্রকল্পের একটি ঘর এখন অন্যায়-অবৈধ কার্যকলাপের অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এনিয়ে প্রতিবেশীদের মাঝে বেশ অস্বস্তি ও ক্ষোভ বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ঘরটি বরাদ্দ পেয়েছেন মো. ফারুক শেখ নামে এক ব্যাক্তি। তার বাবা পার্শ্ববর্তী গোবিন্দপুর গ্রাম নিবাসী মো. জিন্নাহ শেখ একজন প্রতিষ্ঠিত কৃষক। তিনি ২৫/৩০ বিঘা কৃষি জমির মালিক। বাড়িতে তিন তলা ভিতের উপর একটি একতলা বিল্ডিং রয়েছে তার। এই সচ্ছল বা অবস্থা সম্পন্ন পরিবারের সন্তান ফারুকের দরিদ্রের ঘর পাওয়া নিয়ে এলাকায় বিতর্ক থাকলেও নতুন করে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে ঘরের অপব্যবহার নিয়ে।
প্রতিবেশীদের অভিযোগ, ঘরটি সারাদিন তালা বদ্ধ থাকে। সন্ধ্যায় ফারুক আসেন জলসার আসর বসাতে। এটি যেনো তার বাংলো বাড়ি! প্রায়শই ঘরটিতে বহিরাগত নারী-পুরুষের আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়। দরজা বন্ধ করে ঘরের ভিতরে তাস, জুয়া, নেশার আড্ডা চলে। সম্প্রতি এক রাতে ঘরটি থেকে এক নারী সহ ফারুক ও তার সহযোগীদের আটক করেন এলাকাবাসী। পরে ওই নারীকে তার অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করা হলেও কৌশলে লাপাত্তা হয়ে যান ফারুক ও তার সহযোগীরা।
প্রতিবেশী রিনা বেগম বলেন, আশ্রায়ণ প্রকল্পের এ ইউনিটে মোট চারটি ঘর রয়েছে। এর একটিতে ফারুক অপর তিনটিতে আমি সহ অন্যান্যরা বসবাস করছি। কিন্তু ফারুকের কারনে বর্তমানে আমাদের বসবাস করা দায় হয়ে পড়েছে।বহিরাগত নারী-পুরুষের আনাগোনায় লজ্জাস্কর অবস্থার মধ্যে থাকতে হয়। ঘরের ভিতর থেকে নিশাজাত দ্রব্যের গন্ধ ভেসে আসে। বিকল্প না থাকায় বাধ্য হয়েই এখানে থাকতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ফারুক শেখের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও মোবাইল বন্ধ থাকায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। এছাড়াও তিনি এলাকায় না থাকায় এ ব্যাপারে ফারুকের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এব্যাপারে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. সেলিম মোল্লা ওই ঘর থেকে বহিরাগত নারী উদ্ধারের ঘটনা স্বীকার করে বলেন, ফারুকের কিছু ভুলত্রুটি আছে। এ নিয়ে আপনাদের কিছু করার দরকার নেই ভাই। নাম্বার দিয়ে যান ফারুককে যোগাযোগ করতে বলবানি।
এ বিষয়ে ঘোষপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন নবাব বলেন, আমার এলাকা, কোন মন্তব্য করতে চাই না। তবে এলাকার কেউ ফারুককে ভালো বলে না- সেটা শোনা যায়। আপনারা আশপাশে খোঁজ নেন সব জানতে পারবেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।