ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের ভেলাতৈড় গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধী মোঃ শফিকুল ইসলামের কন্যা মোছাঃ সীমা আক্তারের সাথে আনুমানিক ৬/৭ মাস আগে একই গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে মোঃ সাগর ইসলামের সাথে বিয়ে হয়।
বিয়ের পরেই শুরু করে সাগর তার স্ত্রী সীমা আক্তার কে প্রতিনিয়ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। তাই সীমাকে নিয়ে শুশুর বাড়িতে রেখে ১২ই আগষ্ট ২০২২ শুক্রবার রাতে সীমাকে মারপিট করে আনুমানিক সকাল ৭.০০ ঘটিকায় সীমার বাপের বাড়ী থেকে বাসায় যাওয়ার কথা বলে পালিয়ে গিয়ে গা ঢাকা দেয় সাগর ইসলাম।
এ বিষয়ে সীমা তার স্বামীকে না পেয়ে তার স্বামী সাগরের বাড়িতে গেলে সাগরের পরিবারের লোকজন তাকে মারপিট করে বাসা থেকে বের করে দেন। পরে সীমা কোন উপায় না পেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে তার পিতা শফিকুল ইসলাম দেখে ফেললে সীমাকে আত্মহত্যা থেকে বাঁচায়। পরে এলাকাবাসী লোকজন সহ সফিকুল ইসলাম তার কন্যা সীমাকে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে সীমা হাসপাতালে ভর্তি।
এ বিষয়ে সীমার কাছে গণমাধ্যম কর্মীরা জানতে চাইলে সীমা বলেন, আমার স্বামী সাগর ইসলাম আমাকে মারপিট করে পালিয়ে যায়। আমাকে বিয়ে করে তার বংশ মর্যাদা নষ্ট হচ্ছে বলে আমাকে কৌশলে তাড়ানোর চেষ্টা করছে। আমি তার উচিত বিচার চাই। এবং তার পিতা শফিকুলের সাথে কথা হলে তিনি বলেন মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।