স্টার্ফ রির্পোটার, মনিরামপুর (যশোর) থেকেঃ যশোরের মনিরামপুরে ১৫ আগস্টের সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন উপজেলা আ.লীগের তরুণ উদীয়মান নেতা ও শ্যামকুড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আলমগীর হোসেন।
গত ১৪ আগস্ট (রবিবার) সকালে সামাজিক মাধ্যমে ১৫ আগস্টের শদীদদের প্রতি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এ শ্রদ্ধা জানান তিনি।
এ সময় গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোররাতে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসভবনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকেরা সেদিন শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তাঁর ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবি ও সুকান্তবাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগনে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তাঁর অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু, কর্নেল জামিলসহ ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা ও মহান স্বাধীনতার রূপকার। বাঙালির অধিকারের প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু ছিলেন আপসহীন ফাঁসির মঞ্চেও তিনি বাংলা ও বাঙালির জয়গান গেয়েছেন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার উদ্দেশে বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’, যা ছিল মূলত স্বাধীনতারই ডাক। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। জাতির পিতার নাম এ দেশের লাখো কোটি বাঙালির অন্তরে চির অমলিন, অক্ষয় হয়ে থাকবে। যারা বাঙালি জাতির মহান নেতাকে ও তার সপরিবারকে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে এনে কঠিন শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
এ ছাড়াও সকল শহীদদের প্রতি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আলমগীর হোসেনের স্নেহ-ধন্য ছোট ভাই মনিরামপুর উপজেলা জাতীয় শ্রমিকলীগের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, উপজেলা আ.লীগের সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক বাবু অজিত কুমার ঘোষ, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক এস,এম নজরুল ইসলাম, ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিন, আ.লীগ নেতা শিক্ষক মোঃ পলাশ হোসেন, লিটন কুমার পালিত, শরিফুল ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুহিদুল ইসলাম, সজল, বাবু, কৃষলীগের সভাপতি ওয়াহিদ মুরাদ সাগর, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ রবিউল ইসলাম, জি,এম মেহেদী হাসান, সবুজ হোসেন, জুয়েল রানা, বাপ্পি, আব্দুস সালাম, রাশেদ প্রমুখ।
ডি.জে হাসান/কলমকথা
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।