পুরান ঢাকার চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৫ আগস্ট) এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এ ছাড়া তিনি আহতদের দ্রুত সুস্থতাও কামনা করেন।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে চকবাজারে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট কাজ করে দুপুর ২টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
অগ্নিকাণ্ডে ৬ জন মারা গেছেন। তারা সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন এবং বরিশাল হোটেলের কর্মী বলে জানা গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা সদরের উপ-সহকারী পরিচালক মো. বজলুর রশিদ বলেন, নিহত ৬ জনের মধ্যে ৫ জনের শরীর এমনভাবে পুড়ে গেছে যে তাদের সনাক্ত করা যায়নি।
ডিএনএ টেস্টের জন্য মরদেহগুলো মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ভবনের ভেতরে এখনও অভিযান চলছে বলে জানান মো. বজলুর রশিদ।
নিহতরা হচ্ছেন- হবিগঞ্জের স্বপন সরকার (২২), বরিশাল মুলাদি থানার বাসিন্দা বেলাল সরদার (৩৫), কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মো. শরীফ (১৫), মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বাসিন্দা রুবেল হেলাল, শরিয়তপুরের আব্দুল ওহাদ ওসমান (২৫) ও বরিশালের হিজলা উপজেলার মোতালেব (১৬)।
নিহত ওসামানের খালাতো ভাই মো. রুবেল জানান, যে ভবনে আগুন লেগেছে সেটির নিচ তলায় বরিশাল হোটেল। হোটেলেই কাজ করতেন ওসমান। রাতে কাজ করে ওই ভবনের দোতলায় ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি।
নিহত মো. বিল্লালের (৩৩) শ্যালক আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন তার দুলাভাইও বরিশাল হোটেলে কাজ করতেন। রাতে নাইট ডিউটি শেষে ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঘুমাচ্ছিলেন তিনি। আগুন লাগার পর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
ডিএমপির লালবাগ বিভাগের ডিসি মো. জাফর হোসেন বলেন, উদ্ধার মরদেহগুলো মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষা করে পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পর মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।