জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ রুল জারি করেন। বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসচিব, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যানসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়। গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পেট্রোলিয়ামের দাম নির্ধারণ নিয়ে ক্যাবের পক্ষে একাধিক রিট করেছেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, তিনি শুনানিতে অংশ নেন।
ইউনুছ আলী আকন্দ শুনানিতে বলেন, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আইনের বিধান লঙ্ঘিত হয়েছে। আইনে আছে গণশুনানি করতে হবে, মূল্য নির্ধারণ করবে বিইআরসি। দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে গণশুনানি হয়নি। দাম নির্ধারণ করেছে সরকার।
আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, গণশুনানি ছাড়া দাম নির্ধারণের সুযোগ নেই। এখানে মন্ত্রণালয়ের দাম নির্ধারণ করার এখতিয়ার নেই। এ দাম নির্ধারণে বিইআরসির ক্ষমতা খর্ব করেছে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট রাত ১২টার পর জ্বালানি তেলের নতুন দাম কার্যকর করে সরকার। ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ৩৪ টাকা বাড়িয়ে ১১৪ টাকা, পেট্রোলের দাম ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা এবং অকটেনের দাম ৪৬ টাকা বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা করা হয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।