মামুনুর রশিদ মামুন, কুড়িগ্রামঃ কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম শেখের বিরুদ্ধে নানা বিষয়ে অপবাদ ও অপপ্রচার করে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এর প্রতিবাদে অভিযুক্ত আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববন্ধন এলাকাবাসী করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।

লিখিত অভিযোগে যানা যায়, উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের ধরকারকুটি গ্রামের মকবুক হোসেনের ছেলে আব্দুর রহিম শেখ রংপুর হেল্প হসপিটালের ভাইস চেয়ারম্যান এবং দীর্ঘ ২০বছর থেকে নাওডাঙ্গা, ধরকা ও নিমকুশ্যা বিলে মাছ চাষ, ঠিকাদারী, গরুর খামার, স্টক বিজনেস এবং নাগেশ্বরী কলেজমোড়ে জিসান ট্রেডার্সে ব্যবসা করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করাসহ ১৪ বছর থেকে সরকারকে আয়কর দিয়ে আসছেন।

ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, পার্শ্ববর্তী ফুলবাড়ী উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা ও সীমান্তবর্তী বেড়াকুটি বাজারের মৃত আনছার আলীর ছেলে আমিনুল ইসলাম হঠাৎ অসুস্থ হলে আব্দুর রহিম শেখের সহযোগিতায় রংপুর হেল্প হসপিটালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন।

এ সময় পরিচয় হয় দুজনের। গেলো পনেরো দিন আগে আমিনুল ইসলাম ক্ষমতাশীন দলের দাপট ও বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম শেখের নিকট ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।

রহিম শেখ চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত এক সপ্তাহ ধরে আমিনুল ইসলাম বিভিন্ন মিডিয়া কর্মীদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম শেখের বিরুদ্ধে ক্যাসিনোসহ নানা বিষয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ করেন। এর প্রতিবাদে অভিযুক্ত আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে স্থানীয় আব্দুর রাজ্জাক, নাজমুল হক, ইসমাইল হোসেন, শামীম, আব্দুল হক, দুলাল জানান, আব্দুর রহিম শেখ রংপুর হেল্প হসপিটালের ভাইস চেয়ারম্যান এবং দীর্ঘদিন থেকে নাওডাঙ্গা, ধরকা ও নিমকুশ্যা বিলে মাছ চাষ, ঠিকাদারী, গরুর খামার, স্টক বিজনেস এবং নাগেশ্বরী কলেজ মোড়ে জিসান ট্রেডার্স নামে ব্যবসা করে আসছেন।

এতে করে এলাকার শতাধিক দরিদ্র পরিবার তার প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছে। সবসময়ই মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থাকেন।

এছাড়াও বক্তারা অভিযোগ করে বলেন আমিনুল ইসলাম একজন মাদক ব্যবসায়ী এবং একাধিক মামলার আসামী। এমনকী দীর্ঘদিন থেকে ক্যাসিনো ব্যবসার সাথেও জড়িত এবং চাঁদাবাজী করে আসছেন।

এরই প্রেক্ষিতে এক সময় আমিনুল ইসলাম ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম শেখের নিকট ২০লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং টাকা না দেয়ায় রহিম শেখের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে লিখিত অভিযোগ ও সংবাদ প্রচার করেছেন