কুষ্টিয়ায় মাস-উদ রুমী সেতুতে টোল চাওয়ায় টোল প্লাজায় কর্তব্যরত ৬ কর্মীকে বেধড়ক পিটিয়েছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এতে ওই টোল প্লাজার ৬ কর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় টোল প্লাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনাও ঘটে। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় ছাত্রলীগেরও কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ছাত্রলীগ।
আহতদের কয়েকজনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালসহ স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে পুলিশের দাবি এটি একটি তুচ্ছ ঘটনা। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ায় এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে জেলা ছাত্রলীগের শোক দিবসের আলোচনা সভা ছিল। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি। সভায় অংশগ্রহণ করার জন্য কুমারখালী ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী মোটরসাইকেল যোগে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
এ সময় মাছ-উদ রুমী সেতুর পশ্চিম দিকের টোল প্লাজায় পৌঁছালে সেখানে দায়িত্বরত একজন কর্মী একটি মোটরসাইকেল থামানোর চেষ্টা করেন। এ সময় পেছন থেকে আরও ৩০ থেকে ৪০টি মোটরসাইকেল ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। প্রত্যেক মোটরসাইকেলে ছাত্রলীগের দুই থেকে তিনজন করে কর্মী ছিলেন।
নেতা-কর্মীরা এ সময় মোটরসাইকেল থেকে নেমেই টোল প্লাজায় দায়িত্বরত কর্মীদের ওপর চড়াও হয় এবং লাঠিসোটা, কিল ঘুষিসহ তাদের মারপিট শুরু করে। ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, টোলঘরে আদায় করা অর্থ একটি গামলা থেকে একজন তুলে নিচ্ছেন। সেখানেও দায়িত্বরত একজনকে পেটানো হয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।