টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেল ছিনতাই করার জন্যই চাচাতো ভাই আরিফ মিয়াকে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে হত্যা করেন মো. জাহাঙ্গীর মিয়া। পরে ছিনতাই করা মোটরসাইকেলটি বিক্রি করে দেন।
টাঙ্গাইল চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আকরামুল ইসলামের আদালতে হত্যা ও মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করে শনিবার (২০ আগস্ট) জবানবন্দি দেন জাহাঙ্গীর মিয়া। জবানবন্দি রেকর্ডের পর তাকে এবং অপর আসামি মোটরসাইকেলটির ক্রেতা মো. হাফিজুর রহমান রনিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরোও পড়ুন: জালাল থেকে জজ মিয়া: এ নাটক ফেঁদেছিলেন যারা
নায়িকা নিপুণের আদালত অবমাননার মামলার শুনানি আজ
মো. জাহাঙ্গীর মিয়া (৩৩) নাগরপুর উপজেলার নঙ্গিনাবাড়ি গ্রামের আলহাজ্ব উদ্দিন দারোগ আলীর ছেলে। অপর আসামি হাফিজুর রহমান রনি (৩৩) দেলদুয়ার উপজেলার দুল্লা গ্রামের মোকছেদুর রহমানের ছেলে।
নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, নঙ্গিনাবাড়ী গ্রামের সৌদি প্রবাসী মো. হোসেন মিয়ার ছেলে আরিফ মিয়া (২১) তার মোটর সাইকেলে গত ৮ আগস্ট চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীর মিয়াকে নিয়ে টাঙ্গাইলের উদ্দেশ্যে রওনা হন। পরদিন জাহাঙ্গীর বাড়ি ফিরে গেলেও আরিফ ফেরেননি। প্রথমে ১০ আগস্ট আরিফের চাচা হাসান মিয়া এ ব্যাপারে নাগরপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। শুক্রবার (১২ আগস্ট) বিকেলে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার তিল্লী সেতুর নিচ থেকে আরিফের মরদেহটি উদ্বার করা হয়। পরে তার বাবা বাদি হয়ে নাগরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।