আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে কিনা, কিংবা কত আসনে ব্যবহার করা হবে সেই বিষয়ে আজ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বিকেল ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ বিষয়ে কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (ইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সভায় অন্য চার নির্বাচন কমিশনাররাও উপস্থিত থাকবেন। আজকের সভার এজেন্ডায় ইভিএম, গাইবান্ধা-৫ শূন্য আসনে উপ-নির্বাচন এবং বিবিধ বিষয়ে আলোচনা করা হবে। তবে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হলে তফসিল আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে হতে পারে বলে জানান ইসি কর্মকর্তারা।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে ইসির হাতে দেড় লাখ ইভিএম রয়েছে। এর মধ্যে কিছু ইভিএম চুরি হয়েছে। নষ্টও হয়েছে বেশ কিছু মেশিন। তাই দেড় লাখ ইভিএমও ব্যবহার করার মতো নেই সংস্থাটির হাতে। চার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নিয়ে তড়িঘড়ি করে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ৮০ হাজার মেশিন ও পরে ৭০ হাজার মেশিন সংগ্রহ করে কেএম নূরুল হুদার কমিশন। এরপর বিভিন্ন নির্বাচনে ব্যবহার করা হলে দীর্ঘদিন ভোটকেন্দ্রেই রাখা হয়। কিছু মেশিন উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে ও বিভিন্ন গোডাউনে রাখা হয়।
ইভিএম প্রকল্পের পরিচালক সৈয়দ রাকিবুল হাসান এ বিষয়ে বলেছেন, ‘ইভিএম যা আছে তাতে ৭০-৮০টি আসনে হয়তো নির্বাচন করতে পারব। আরও ইভিএম কেনা হবে কি-না, সেটা কমিশনের সিদ্ধান্ত। কমিশন সিদ্ধান্ত দিলেই বলা সম্ভব।’
বিএনপিসহ বেশ কিছু দল ইভিএম ব্যবহারের বিপক্ষে। দলগুলো বলছে সচ্ছ ব্যালট বাক্সে আগামী নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। তবে প্রযুক্তিবিদরা মনে করছেন, এই যন্ত্রটি নির্ভরযোগ্য মেশিন। এর মাধ্যমে দলগুলোর নির্বাচনে যাওয়া উচিত।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।