নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চর জব্বর ইউনিয়নে সংঘঠিত একের পর এক চুরির ঘটনার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ওমর ফারুক।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য নানা দাবি পেশ করেন। এসময় ১নং চর জব্বর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার মাইন উদ্দিন জিকুসহ এলাকার নেতৃত্বে স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে চেয়ারম্যান ওমর ফারুক বলেন, বিগত প্রায় ১১ বছর চর জব্বর ইউনিয়ন পরিষদ ছিল অপরাধীদের কাছে জিম্মি। চুরি-ডাকাতি, ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের অসংখ্য ঘটনার সাক্ষী এই ইউনিয়নের বাসিন্দারা। নির্যাতনের শিকার হয়েও সাধারণ মানুষ ইউনিয়ন পরিষদে বিচার পায়নি। বরং বিচারের নামে লাখ লাখ টাকার সালিশ বাণিজ্য হয়েছে এই ইউনিয়নে।
সাংবাদিক সম্মেলনে চেয়ারম্যান ওমর ফারুক অভিযোগ করেন, তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তাঁর ইউনিয়নে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটে। প্রথম দিকে তিনি ঘটনাগুলোকে বিচ্ছিন্ন হিসেবে মনে করলেও সম্প্রতি চেউয়াখালী বাজারের কামাল ডাক্তারের দোকানে চুরির ঘটনায় গ্রেফতার আসামি মো. সোহেলের আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিতে পরিকল্পিতভাবে তাঁর ইউনিয়নে চুরি করানো হচ্ছে মর্মে গোপন পরিকল্পনার বিষয়টি প্রকাশ পায়।
সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক তাঁর ইউনিয়নের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা ও শান্তির স্বার্থে গ্রেফতার চোরের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বেরিয়ে আসা চুরিতে ইন্ধনদাতাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
এ বিষয়ে সুবর্ণচরের চরজব্বর থানার ওসি দেবপ্রিয় দাস বলেন, চুরি-ডাকাতিসহ সব ধরণের অপরাধের বিরুদ্ধে থানা-পুলিশের ‘জিরো ট্রলারেন্স’ নীতি রয়েছে। চুরির ঘটনায় গ্রেফতার ব্যক্তির আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তির বিষয়ে তদন্ত চলছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।