একটি শিশুর জন্য নৈতিক শিক্ষা লাভের প্রথম ভিত্তি হচ্ছে তার পরিবার। আর পরিবারের মধ্যে শিশুর প্রথম শিক্ষক হচ্ছেন তার মা-বাবা। যারা কিনা ছোট থেকেই পারিবারিক শিক্ষায় সন্তানকে বড় করে তোলেন। জীবনের শুরুতে বাবা-মা সন্তানকে যে শিক্ষায় শিক্ষিত করবেন, বড় হয়ে সন্তান তারই প্রতিচ্ছবি দেখাবে।
পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো সন্তান লালন-পালন করা। এক্ষেত্রে পরিবারকে সবকিছু করতে হবে বুঝে-শুনে। কারণ বাবা-মা যদি খারাপ প্যারেন্টিং অনুসরণ করেন, তবে তা সন্তানের ওপর দীর্ঘমেয়াদী খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই কিছু কিছু কাজ আছে, যেগুলো সন্তানের সঙ্গে বা তার সামনে না করা উত্তম।
শিশুকে তিরস্কার করা
সন্তান যদি কিছু ভুল করে, তাহলে সে ভুলের জন্য তাকে তিরস্কার বা অনেক বেশি বকাঝকা করা যাবে না। কারণ তিরস্কার বা অধিক বকাঝকা আপনার সন্তানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সন্তান সততা দেখিয়ে নিজের ভুল স্বীকার করার পরও যদি আপনি তাকে বকাঝকা করেন, তাহলে আপনার ক্রিয়াটি আরও খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
সবার সামনে শিশুকে শাসন করবেন না
কিছু বাবা-মা আছেন যারা কিনা অতিথিদের সামনে তাদের সন্তানের ওপর রাগ প্রকাশ করেন। অন্যদের সামনে তাদের বকাঝকা করেন। আবার অনেকে গায়ে হাতও তোলেন। এটি আপনার সন্তানের আত্মবিশ্বাসের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। শৃঙ্খলার এই পদ্ধতি থেকে উদ্ভূত লজ্জার অনুভূতি তার মনে শিকড় গেড়ে বসে।
শুধু উপদেশ নয়, উৎসাহ দিন
বাবা-মা সন্তানকে উপদেশ দেবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু উপদেশ না দিয়ে উৎসাহ দিলে শিশু যেকোনো কাজে নিজের গতি ফিরে পায়। নিজের ভেতর বাড়তি চাপ অনুভব করে না।
নিয়মানুবর্তিতা
ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে শিশুদের সামনে কিছু নিয়ম ও সীমারেখা তৈরি করতে হয়। আপনি যদি আপনার সন্তানকে নিয়মানুবর্তিতা না শেখাতে পারেন, তাহলে বাইরের জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা বা মানিয়ে নেওয়া তাদের পক্ষে কঠিন হয়ে উঠতে পারে।
শিশুর অনুভূতি সম্মান না করা
সন্তানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে এবং তার অনুভূতি বুঝতে সময় নেন। যখন একটি শিশুর মতামত এবং অনুভূতি উপেক্ষা করা হয় এবং একটি স্বাস্থ্যকর উপায়ে সম্বোধন করা হয় না, এটি শিশুদের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।