আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় তিন দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা, পূজায় সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।

শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট এ সংবাদ সম্মেলন করে।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব ও মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে লিখিত বক্তব্য দেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, এদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মঠ মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর, হিন্দু বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের কথা বিশ্ববাসী জানতে পেরেছে। স্বাধীনতার ঊষালগ্নে এদেশের হিন্দু সম্প্রদায় বড় আশা করেছিল এদেশে তারা সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে পারবে কিন্তু প্রতিনিয়ত এদেশে ধারাবাহিকভাবে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে।

এ সময় জাতীয় হিন্দু মহাজোট চার দফা দাবি উপস্থাপন করে। দাবিগুলো হলো- দুর্গাপূজায় সরকারি ছুটি তিন দিন (অষ্টমী, নবমী ও দশমী) করতে হবে, প্রত্যেকটি স্থায়ী ও অস্থায়ী পূজা মন্দিরে সরকারি খরচে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন ও সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা, অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল।

সাম্প্রদায়িক হামলা আশঙ্কা প্রকাশ করে জাতীয় হিন্দু মহাজোট নির্বাহী মহাসচিব পলাশ কান্তি দে বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তি হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ উৎসব দুর্গাপূজা চলাকালীন আমাদের ওপর হামলা করতে পারে। ইতোমধ্যে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে, সাতক্ষীরা সদরে এবং চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় মন্দিরে হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। এজন্য ২০২২ সালের দুর্গাপূজা নিয়ে শঙ্কা বোধ করছি।

আমরা প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি, এবার থেকেই দুর্গাপূজায় সরকারি ছুটি তিন দিন (অষ্টমী, নবমী ও দশমী) করা হোক।

বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সভাপতি ড. প্রভাস চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রধান সমন্বয়কারী শ্যামল কুমার রায়, নির্বাহী সভাপতি সুধাংশু চন্দ্র বিশ্বাস, সহ-সভাপতি ডিসি রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা রনজিত কুমার মৃধা, হিন্দু যুব মহাজোটের প্রধান সমন্বয়কারী পংকজ হালদার, সভাপতি প্রদীপ কান্তি দে, সাধারণ সম্পাদক রাজেস নাহা, হিন্দু ছাত্র মহাজোটের সভাপতি সজীব বৈদ্য।