গার্মেন্টস শ্রমিকের জীবনের কথা
বিপুল চন্দ্র রায়
আমাদের বাড়ি ঘর ছেড়ে
এসেছি শহরে একটু সুখের আশায়।
সুখের শহরে দুঃখের ছায়া হায়!
সুখ তো আছে ঢাকায় টাকার ছোঁয়ায়।
ঢাকা শহরে বড় বড় দালান-কোটা
চাকুরি করে অভাগা দুঃখী যে জন,
নিজের সুখটা কে জানান দিয়ে,
পরিবারের হাল ধরছে শহরের
ইট পাথরের অচেনা দেশে ।
গার্মেন্টস চাকুরি বড়ই জ্বালা,
যে করে সেই জানে কত মজা।
দুঃখ কষ্ট সয়ে সয়ে জীবনটা
আজ পাথরে পাহাড় সম।
দিনের আলো-বাতাস পাইনা কভু,
রাতের আঁধারে জীবন ঢাকা প্রভু।
ছোট মনের মানুষ গুলো
করছে ছোট ছোট রুম,
১২ ঘন্টা কাজে নিয়োজিত থেকে
ছুটে এসে ছোট খুপরিতে ঘুম।
সবাই আমরা ভিনদেশী
কেহ কারো আপন নই,
তবুও থাকি সেথা সবাই মিলে
আমরা যেন আপন হই।
এক সাথে থাকি এক সাথে চলি,
কারো সাথে কেউ হিংসা নিন্দা নাহি করি,
সবাই যেন আমরা সবারে ভালোবাসি।
মাস শেষে-স্বল্প বেতনের চাকুরি করি,
বাসা মালিকে অর্ধেক বেতন দেই,
খাওয়া দাওয়া মেস বিল দিয়ে,
থাকে দুই তিন হাজার টাকা মাত্র_
পরিবারে দিব নাকি নিজের কাছে রাখবো,
মাস শেষে পকেট ফাঁকা ।
জীবনটা বড়ই কঠিন!
কষ্টময় জীবন নিয়ে জীবন কাটা,
বয়স হইল ত্রিশ-বত্রিশ বিয়ে হইলনা,
গার্মেন্টস চাকুরি করি বোধায়
মানুষ জনে পাত্র–পাত্রী দেয়না।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।