টেস্ট ও ওয়ানডেতে ছন্দে থাকলেও টি-টোয়েন্টিতে অনেক দিন ধরেই ব্যাটে রান ছিল না মুশফিকুর রহিমের। ধারাবাহিক ব্যর্থতার কারণে অনেক সমালোচনাও হজম করতে হচ্ছিল তাকে।
সবশেষ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এশিয়া কাপে চরম ব্যর্থ হন এ অভিজ্ঞ তারকা। তাতে সেসব সমালোচনার পাল্লা আরও ভারি হয়ে ওঠে। এসব সমালোচনার মধেই নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন মুশফিক।
রোববার ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে কুড়ি ওভারের আন্তর্জাতিক ফরম্যাট থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন তিনি। তাতে ১৫ বছর ২৭৭ দিনের টি২০ ক্যারিয়ার থামল মি. ডিপেন্ডেবলখ্যাত তারকার।
মুশফিকের এ ঘোষণার পর থেকে ক্রিকেটমহল তোলপাড়। তার অবসরের সিদ্ধান্ত ঠিক না বেঠিক— এ নিয়েই চলে দিনভর আলোচনা।
তবে মুশফিকের মাঠের সতীর্থরা এ আলোচনায় না গিয়ে তাকে বিদায়ী সম্ভাষণ জানিয়েছেন। বাকি দুই ফরম্যাটের জন্য জানিয়েছেন শুভকামনা।
তবে বেদনার ছাপ ফুটে উঠেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বার্তায়। মুশফিকের এই ঘোষণায় তার হৃদয় ভেঙেছে বলে জানিয়েছেন টি-টোয়েন্টির সাবেক অধিনায়ক।
সেটি হওয়ারই কথা। একে তো মুশফিক টি-টোয়েন্টি সংস্করণে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন মাহমুদুউল্লাহর অধিনায়কত্বে। তার ওপর পারিবারিক বন্ধনেও আবদ্ধ দুজন। ১২১টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলা মাহমুদউল্লাহ তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন—
‘প্রিয় মুশফিক, তোমার অবসরের ঘোষণা শুনে আমার মন ভেঙে গেছে। তবে টি-টোয়েন্টির ক্যারিয়ার ও অর্জনের জন্য তোমায় সাধুবাদ জানাই। তোমার সঙ্গে টি-টোয়েন্টি খেলাটা আনন্দদায়ক ছিল। তোমার কাজের নীতি সব সময়ই যে কোনো সংস্করণেই অনুপ্রেরণা দিয়ে যাবে।’
মাহমুদউল্লাহর এ প্রতিক্রিয়ার কৃতজ্ঞতার অভিব্যক্তিতে উত্তরও দিয়েছেন মুশফিক। লিখেছেন— ‘সব সময় আমার পাশে থাকার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাই। একমাত্র আপনিই সব সময় আমার পাশে ছিলেন।’
শেষ লাইনটিতে মুশফিক কী বার্তা দিলেন তা নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে চলছে শোরগোল। অনেকের মতে, মুশফিকের এমন উত্তরে যেন কিছু না বলেও অনেক কিছু বুঝিয়ে দেওয়ার সুর রয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।