আজন্ম ক্রিকেটার হতে চাওয়া ছোট্ট জীবনের প্রতিটি স্তরে এতটা ধাক্কা খেয়েছেন যে নিজের স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ করে বাবার সঙ্গে হালচাষে নেমেছিলেন মারুফা। পরিবারের আর্থিক দুর্দশার কারণে বাবার ক্ষেতে কাজ করতে হয়েছে মারুফাকে। গণমাধ্যমে মারুফা খবরের শিরোনাম হলে এগিয়ে আসে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নানাভাবে তার পরিবারকে সাহায্য করে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
আর তাতেই মারুফার মাঠে ফেরার দুয়ার খুলে যায়। ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে সেই তিনিই এখন বিশ্বমঞ্চে। কিছুদিন পরই বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে খেলবে। ডানহাতি পেসার মারুফা মেয়েদের সবশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ও জাতীয় ক্রিকেট লিগে দারুণ বোলিংয়ের পুরস্কার পেয়েছেন। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন।
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কৃষক বাবার সন্তান মারুফা দলে ডাক পাওয়ার পর আনন্দে আত্মহারা। চিরকালীন অভাব অনটঘনের ঘরে আলো ফুটিয়েছেন মারুফা। ক্রিকেট তার জীবনে এনেছে অনাবিল আনন্দ। তাই তো জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার দিনে ক্রিকেটের প্রতি তার গভীর ভালোবাসা, শ্রদ্ধা মিশে রইলো, আসলে ক্রিকেট না খেললে কিছুই পেতাম না জীবনে।
এই ক্রিকেটটাই এখন আমাদের পরিবারে সুখ এনে দিয়েছে। আমাকে আরও অনেক কষ্ট করতে হবে। জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছি। চেষ্টা করতে হবে যেন দেশের হয়ে ভালো কিছু করতে পারি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।