আশেপাশে নিজদের সমবয়সী অনেক বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন সবাই বিয়ে করে নতুন জীবন শুরু করেছেন। তবে গোটা কয়েক যুবককে দেখা যায় বিয়ের কথা শুনলেই বিরক্তবোধ করছেন। জীবনে পরিবার অপরিহার্য বিষয় এই যেন তারা ভুলে গেছে। কিন্তু তাদের এই ভয় কেন? চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সেসব ভয়ের কারণগুলো কী-
বিয়ের খরচ
বিয়ে মানেই অনেক বেশি চাকচিক্য ও বড় পরিসরের আনুষ্ঠানিকতা। যা অনেক যুবকের বোঝা বলে মনে হয়। দামি কাপড়, প্রচুর স্বর্ণালঙ্কার, অনেক অতিথি, লাখ টাকা দিয়ে হল ভাড়া নেয়া ইত্যাদি ছাড়া যেন সমাজে মুখ রাখাই দায়।
স্বাধীনতা হারানোর ভয়
যখন যেখানে চলাচল। ব্যাপক স্বাধীনতা। কারো কাছে জবাবদিহিতা নেই। তবে পুরুষদের মধ্যে একটি সাধারণ ধারণা হলো বিয়ে করা মানেই ব্যক্তি স্বাধীনতা হারানো। নিজের জন্য আলাদা ভাবে সময় দেয়া, যখন যেখানে খুশি যাওয়া, যা ইচ্ছে করা ইত্যাদি স্বাধীনতা হারানোর ভয়ে পুরুষরা বিয়ে করতে পিছু হটেন।
স্ত্রীর পরকীয়ার ভয়
যেসব পুরুষ সম্পর্কের ক্ষেত্রে কাউকে প্রতারিত হতে দেখেছে কিংবা নিজে প্রেমের সম্পর্কে প্রতারিত হয়েছে তারা বিয়ের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। বরং তাদের মনে বিয়ে সম্পর্কে এক অজানা আতঙ্ক বিরাজ করে। তারা মনে করেন বিয়ের পর স্ত্রী প্রতারণা করবে আর এ ভয়েই বিয়ের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
দায়িত্ব নেয়ার ভয়
বিয়ে করা মানেই আরেকটি মানুষদের দায়িত্ব নেয়া। স্ত্রীর দেখাশোনা, খরচ, সঙ্গ দেয়া, সুবিধা অসুবিধার দিকে লক্ষ্য রাখা ইত্যাদি দায়িত্ব নিতে হয় পুরুষকে। আর বিয়ের কিছুদিন পরেই সংসারে আসে নতুন অতিথি। তখন দায়িত্ব আরো বাড়ে। সেই সঙ্গে খরচ এবং চিন্তাও বাড়ে। তাই একসঙ্গে এতো দায়িত্ব নিতে স্বাভাবিক ভাবেই পুরুষরা ভয় পায় এবং বিয়ের প্রতি অনীহা সৃষ্টি হয়।
পরিবারের সঙ্গে স্ত্রীর বোঝাপড়া
বিয়ে করে ঘরে স্ত্রী নিয়ে এলে অনেক পরিবারেই নানান রকম ঝামেলা দেখা যায়। কখনো স্ত্রী অন্যায় আচরণ করে, আবার কখনো নিজের পরিবারের প্রতি অন্যায় আচরণ করে। এ নিয়ে সংসারে শুরু হয় নানা রকম অশান্তি। তার ওপর পরিবারের অন্য সদস্য ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে মনোমালিন্য তো হয়েই থাকে অহরহ। আর এসব সমস্যার সমাধান করার দায়িত্বটা এসে পড়ে পুরুষটির ঘাড়েই।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।