কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট বাসীকে ৯০ দিন ব্যাপী মাহফিলের দাওয়াত দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার(৯ই সেপ্টেম্বর) সকালে ৯ টায় ইয়াওমুল জুমুয়া কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাটে সোনালী ব্যাংক চত্বরে ‘ছাত্র আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত রাজারহাট শাখার’- উদ্দ্যেগে পবিত্র ১২ই রবিউল আউওয়াল শরীফ তথা “সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ” (ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার স্বরণে প্রতি আরবী মাসের ১২ তারিখ পালনার্থে আলোচনা, কোটি কন্ঠে মীলাদ, ক্বিয়াম শরীফ ও দোয়া-মুনাজাত মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করেন- হাফিজ মুহম্মদ আবু তাহির। মীলাদ ও ক্বিয়াম শরীফ পরিচালনা করেন হাফিয মুহম্মদ আলী।
আলোচনা এবং দোয়া মুনাজাত করেন ঢাকা উত্তরায় অবস্থিত “মুহম্মদিয়া নুরানী ও হাফিজিয়া মাদরাসার” সম্মানিত মুহতামিম হযরত মাওলানা ক্বারী আহমদ তালুকদার সাহবে।
আলোচনায় তিনি বলেন, হযরত সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেছেন। কেননা, মহান আল্লাহ পাক তিনি জ্বীন-ইনসান সহ সকলকেই তা পালনের জন্য আদেশ মুবারক করেছেন। সুতরাং, পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা ফরজ। এসময় তিনি পবিত্র কুরআন শরীফের সুরা ইউনুস উনার ৫৭-৫৮ নং আয়াত শরীফ এবং হাদিস শরীফ উল্লেখ করে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফের গুরুত্ব বর্ণনা করেন।
তিনি আরো বলেন- আজ পবিত্র সফর শরীফ মাসের ১২ তারিখ। প্রতি আরবী মাসের ১২ তারিখে বিশেষ মিলাদ শরীফ মাহফিলের মাধ্যমে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা পবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ উনাকে স্মরণ করে থাকি। সারা দেশের ন্যায় রাজারহাটেও আমরা প্রতি আরবি মাসেই ১২ই শরীফ পালন করে আসছি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ এই আয়োজন। এসময় তিনি আরও বলেন, আগামী ১২ই রবিউল আউয়াল শরীফ উপলক্ষে “আন্তর্জাতিক সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উদযাপন কমিটি”র আয়োজনে রাজারবাগ দরবার শরীফে ৯০ দিন ব্যাপী বিশেষ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে সমগ্র ঢাকা সহ সারা দেশেই লক্ষাধিক বিশেষ তাবারুক বিতরণ করা হবে। প্রত্যেক জেলার প্রবেশ পথে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার বিশেষ গেট স্থাপন করা হবে। সারা দেশে হেলিকপ্টার উড়ানো সহ একই সঙ্গে নদী পথে লঞ্চ-ট্রলারের মাধ্যমে বিশেষভাবে ফাল-ইয়াফরাহু প্রদর্শনী করা হবে। এই মুবারক দিনে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে দেশের সবচেয়ে বড় গরু, বড় মহিষ, বড় খাসী সমূহ মুবারক আক্বীকা করা হবে। সুবহানাল্লাহ! কায়িনাতের মাঝে আয়োজিত এই নজির বিহীন ঐতিহাসিক মাহফিলে অংশগ্রহণের জন্য রাজারহাটবাসীকে তিনি বিশেষভাবে দাওয়াত করেন।
এছাড়াও রাজারহাট “ছাত্র আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত”এর কার্যক্রমকে মুবারকবাদ জানিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য উপস্থিত সবাইকে উৎসাহিত করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেনঃ মুহম্মদ মোশার্রফ হোসেন, ইঞ্জি. সাইয়্যিদ মুহম্মদ আশরাফুর রহমান, মুহম্মদ আসাদুল্লাহ, মুহম্মদ আবু মাহজুরা, মুহম্মদ আবু তাহির, মুহম্মদ সরোয়ার হুসাইন, মুহম্মদ মাসুম বিল্লাহ, মুহম্মদ রফিকুল ইসলাম সুমন, আহমাদুর রহমান মারুফ, মুহম্মদ আবু তাহির, সাইয়্যিদ আহমাদ, মুহম্মদ মুমিনুল ইসলাম, মুহম্মদ মিজানুর রহমান, মুহম্মদ হাবীবুর রহমান, মুহম্মদ জাহিদ হাসান, মুহম্মদ কামরুল ইসলাম নাহিদ, মুহম্মদ হাসানুর রহমান আশিক, মুহম্মদ জুয়েল, মুহম্মদ আল আমীন, মুহম্মদ নোমান খন্দকার, মুহম্মদ নাজমুল ইসলাম, মুহম্মদ নাঈম, মুহম্মদ আরিফুর রহমান, মুহম্মদ মাহফুজুর রহমান, মুহম্মদ মাহবুবুর রহমান মুহম্মদ সৌরভ ইসলাম প্রমুখ। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন রাজারহাট আনজুমানে আল বাইয়্যিনাতের অন্যান্য সদস্যবৃন্দসহ শত শত ধর্মপ্রাণ মুসলমান।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেনঃ মুহম্মদ সোহানুর রহমান শামীম।শেষে তাবারুক বিতরনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।