সোহেল হোসেন, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে কমলনগর উপজেলার চর কাদেরিয়া ইউনিয়নের ফজুমিয়ারহাট উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ ৩ পদের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকালে প্রার্থীদের বাধা দেওয়া হয়েছে।
এতে ৩ প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে প্রধান শিক্ষক আবদুস শহিদসহ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে ওই ৩ প্রার্থী লিখিত অভিযোগ করেছেন। জেলা প্রশাসক ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে এই অভিযোগ করা হয়।
এরআগে সকালে লক্ষ্মীপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আসলে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাদেরকে পরীক্ষা দিতে দেয়নি। অজ্ঞাত ব্যক্তিরা প্রধান শিক্ষক আবদুস শহিদের লোক বলে দাবি ভূক্তভোগীদের। সহকারী প্রধান শিক্ষক, কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর ও অফিস সহায়ক পদে পছন্দের লোকদের নিয়োগ দিতেই প্রধান শিক্ষকসহ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগে জানা যায়, লক্ষ্মীপুরে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে গেলে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে তিন চাকরি প্রার্থী মো. শরিফ, ফরিদ উদ্দিন ও আজিম উদ্দিনকে অজ্ঞাত কয়েকজন লোক আটক করে রাখে। এরই মধ্যে পরীক্ষার নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে যাওয়া তারা নিয়োগ পরীক্ষা দিতে পারেনি।
শরিফ জানান, প্রধান শিক্ষক আবদুস শহিদ তাকে পরীক্ষায় অংশগ্রণ না করার অনুরোধ করেন। পরিকল্পিতভাবে তার পছন্দের প্রার্থীকে চাকরি দিতে এমন অনিয়ম করেছেন। ফরিদ উদ্দিন বলেন, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করার জন্য প্রধান শিক্ষক নিজেই আমাকে ৫০ হাজার টাকা দিতে চেয়েছেন।
সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে চাকরি প্রার্থী মো. রাশেদ বলেন, পরীক্ষাটি সাজানো ছিল। কয়েকদিন আগে প্রবেশপত্র দেওয়া কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি। আমাকে পরীক্ষার আগের রাতে তাকে প্রবেশপত্র দেওয়া হয়।
কমলনগর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নুর নবী চৌধুরী বলেন, লোক দেখানোর জন্যই এই নিয়োগ পরীক্ষা। প্রধান শিক্ষকসহ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটি টাকার বিনিময়ে তাদের পছন্দের লোকজনকে নিয়োগের পাঁয়তারা করছেন।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আবদুস শহিদ বলেন, তিনজন চাকরি প্রার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে এসে ফিরে গেছেন। কিন্তু কেন তা আমরা জানি না। অনিয়মের অভিযোগ সত্য নয়।
কমলনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, ইউএনও’র নির্দেশে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। বাকি দুই পদের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল মতিন বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করা হবে। অনিয়ম প্রমাণিত হলে পুনরায় নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।