দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো আগামীকাল সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) প্রবাসীদের কাছ থেকে ডলার আনতে প্রতি ডলারের জন্য সর্বোচ্চ দাম দিতে পারবে ১০৮ টাকা।
আর রপ্তানি আয় নগদায়ন করতে হবে সর্বোচ্চ ৯৯ টাকা দামে। আমদানির ঋণপত্র নিষ্পত্তিতে প্রতি ডলারের দাম হবে সর্বোচ্চ ১০৪ টাকা ৫০ পয়সা।
ব্যাংকগুলোর শীর্ষ নির্বাহীরা আজ রবিবার সন্ধ্যায় এক সভা করে এই দাম নির্ধারণ করেছেন। নতুন এ দাম কাল সোমবার থেকে কার্যকর হবে। ডলারের চাহিদা ও জোগান পর্যালোচনা করে প্রবাসী আয়, রপ্তানি ও আমদানির ক্ষেত্রে দাম নির্ধারণের জন্য এ সভায় মিলিত হন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) শীর্ষ নেতারা। সোনালী ব্যাংকের মতিঝিলের প্রধান কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বাফেদার চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আফজাল করিম, এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর এফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার বাফেদা ও এবিবির নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ব্যাংকের সভায় সিদ্ধান্ত হয়, সব ব্যাংকে ডলারের দাম হবে এক। ব্যাংকগুলো নিজেরাই এ দাম নির্ধারণ করবে। তারই অংশ হিসেবে আজ নিজেরা সভা করে ডলারের দাম ঠিক করেছেন বাফেদা ও এবিবির নেতারা।
সভা শেষে বাফেদার চেয়ারম্যান আফজাল করিম সাংবাদিকদের বলেন, বেঁধে দেওয়া নতুন এই দাম সব ব্যাংক মেনে চলবে।
আর সভা শেষে এবিবির চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, সময়ে-সময়ে এই দাম পরিবর্তন হবে। আশা করছি, এর মাধ্যমে বাজারে স্থিতিশীল ফিরে আসবে।
বর্তমানে ডলারের যে দাম, সেই অনুযায়ী নতুন দাম নির্ধারণ হয়েছে। ফলে এর চেয়ে বেশি দাম বাড়ার কারণ নেই। বাজারভিত্তিক এই দাম বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যালোচনা ও তদারকি করবে। তবে দাম নির্ধারণ হবে বাজারের ওপর ভিত্তি করেই।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।