ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ান গ্যাস কেনার জন্য মূল্যসীমা নির্ধারণ করে দেওয়ার পরিকল্পনা বাদ দিয়েছে। ব্লকের জ্বালানি মন্ত্রীরা শুক্রবার ব্রাসেলসে বৈঠক করেন। সেখানে প্রস্তাবটি খুব একটা সমর্থন না পাওয়ায় তারা পরিকল্পনাটি বাতিল করে দেয়।
মূল্যসীমা নির্ধারণ করা হলে মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের সদস্য রাষ্ট্রগুলো যারা এখনো রাশিয়া থেকে গ্যাস পায় তারা মস্কোর প্রতিশোধের আশঙ্কা করছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্প্রতি বলেছিলেন, মূল্য নির্ধারণের সিদ্ধান্ত আরোপ করা হলে তিনি সরবরাহ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেবেন। তার পরেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে পিছিয়ে আসে ইউরোপ।
ইউরোপীয় জ্বালানি কমিশনার কাদরি সিমসন বলেছেন, এই জাতীয় পদক্ষেপ ঝুঁকিপূর্ণ হবে। তিনি বলেন, ‘এলএনজি আমদানিসহ সাধারণ মূল্য নির্ধারণ সরবরাহ চ্যালেঞ্জের নিরাপত্তা উপস্থাপন করতে পারে। কারণ এলএনজি বাজার একটি বিশ্বব্যাপী বাজার। আমরা তিনটি বৃহত্তম এলএনজি-আমদানিকারী অঞ্চল বা দেশের মধ্যে নই এবং এলএনজি বাজারে খুব শক্তিশালী প্রতিযোগিতা রয়েছে এবং এ মুহূর্তে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যেন আমরা বিকল্প সরবরাহকারীদের সঙ্গে রাশিয়ান গ্যাস প্রতিস্থাপন করতে পারি।’
যাই হোক, মন্ত্রীরা কিছু বিদ্যুৎ উৎপাদকদের কাছ থেকে রাজস্ব ফিরিয়ে আনতে সম্মত হয়েছেন এবং তারা সেই অর্থ ভোক্তাদের বিলের জন্য ভর্তুকি দিতে ব্যবহার করবেন। ইউরোপে জ্বালানির দাম সাধারণত গ্যাস প্ল্যান্ট দ্বারা নির্ধারণ করা হয়। চলতি মাসের শেষের দিকে ইইউর জ্বালানিমন্ত্রীদের আরেকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে নতুন কোনো পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করা হতে পারে।
সূত্র: রয়টার্স
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।