প্রাণীকূলের সঙ্গে মানুষকে আলাদা করার যেসব সূচক রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মানুষের হাস্য রসবোধ। অন্য কোনো প্রাণীর মধ্যে এই বোধটি নেই। মানুষের যেমন ব্যথা, বেদনা, মন খারাপের বোধ আছে; তেমনি আছে রসবোধ। এই রসবোধের কারণেই মজার কোনো কথা শুনে হাসিতে ফেটে পড়েন মানুষ। তবে প্রশ্ন হলো বিশ্বের সবচেয়ে মজার কৌতুক কোনটি?
এই প্রশ্নের জানতে একটি পরীক্ষা চালিয়েছেন মনোবিজ্ঞানী ড. রিচার্ড ওয়াইজম্যান।
ড. রিচার্ড ওয়াইজম্যান ওয়েবসাইটে বেশ কিছু কৌতুক দিয়ে অংশগ্রহণকারীদের সবচেয়ে মজার কৌতুক নির্বাচন করতে বলেন। অংশগ্রহণকারীদের মজার মজার কৌতুক তালিকায় যোগ করতে বলেন।
২০০১ সালে পরিচালিত পরীক্ষাটি ৪০ হাজারেরও বেশি কৌতুক যোগ করা হয়। প্রায় দুই মিলিয়ন মানুষ বিশ্বের সবচেয়ে মজার কৌতুক নির্বচানে অংশ নেন।
ম্যানচেস্টারের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ গুরপাল গোসালের জমা দেওয়া কৌতুকটি সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিশ্বের সবচেয়ে মজার কৌতুক নির্বাচিত হয়।
তাহলে, বিজ্ঞান অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে মজার কৌতুক কোনটা জেনে নেওয়া যাক।
কৌতুকটি হলো:
দুজন শিকারী জঙ্গলে গিয়েছেন শিকার করতে। হঠাৎ তাদের মধ্যে একজন অজ্ঞান হয়ে যান। তাকে দেখে মনে হচ্ছিল না তিনি নিঃশ্বাস নিচ্ছেন। তার দৃষ্টিও শূন্যে নিবদ্ধ ছিল।
এই অবস্থা দেখে অন্য শিকারিটি তার ফোন বের করে জরুরি পরিষেবা নম্বরে কল করে। তিনি হাঁপাতে হাঁপাতে জানান: আমার বন্ধু মারা গেছে! আমি কি করতে পারি?
অপারেটর তাকে বলেন: শান্ত হোন, আমি আপনাকে সাহায্য করতে পারব। প্রথমে নিশ্চিত করা যাক তিনি মারা গেছেন।
অপরপ্রান্তে প্রথমে নীরবতা নেমে আসে। তারপর শোনা যায় একটি গুলির শব্দ।
এরপর শিকারিটি ফোন ধরে বলেন: ঠিক আছে, এখন কি করব?
ওয়াইজম্যান জানান, এই কৌতুকটি সর্বজনীন আবেদনের কারণে শীর্ষ স্থান দখল করেছে।
তিনি দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, জমা দেওয়া অনেক কৌতুক কিছু নির্দিষ্ট শ্রেণির কাছে বেশি ভোট পেয়েছে, কিন্তু এই কৌতুকটির প্রকৃত সর্বজনীন আবেদন ছিল।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।