ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর দেশটির নতুন রাজা হলেন রানির ছেলে ও সাবেক প্রিন্স অব ওয়েলস চার্লস। সিংহাসনে বসার পরেই জনসাধারণের রোষের মুখে পড়েছেন রাজা তৃতীয় চার্লস। রাজ দরবারের অন্তত ১০০ কর্মচারীকে বরখাস্ত করছেন তিনি। ইতোমধ্যে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
দেশজুড়ে শোকের আবহের মধ্যে এমন সিদ্ধান্তের ফলে সমালোচনার মুখে পড়েছেন নতুন রাজা। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য অনুষ্ঠান এখনও শেষ হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই ব্রিটেন থেকে শোকের আবহ কাটেনি। এ অবস্থায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়ায় জনরোষে পড়েছেন তৃতীয় চার্লস।
আরোও পড়ুন: চলতি সপ্তাহে ৪১তম বিসিএসের ফল
ফের লঘুচাপ সৃষ্টির পূর্বাভাস, বাড়তে পারে বৃষ্টিপাত
তার তীব্র নিন্দা করেছে কর্মী সংগঠনগুলো। প্রতিবেদনে বলা হয়, শিগগির নিজেদের পুরোনো বাসস্থান ছেড়ে সস্ত্রীক বাকিংহ্যাম প্যালেসে উঠবেন রাজা চার্লস। এজন্য আগের বাসস্থান ক্ল্যারেন্স হাউস থেকে শতাধিক কর্মী ছাঁটাই করছেন তিনি। কারণ, তাদের আর দরকার নেই। এক বিবৃতিতে রাজপরিবার জানিয়েছে,
নবাগত রাজা তৃতীয় চার্লস এবং তার স্ত্রী কুইন কনসর্ট ক্যামিলার বাড়ির কাজকর্ম আপাতত স্থগিত থাকবে। এজন্য সেসব কর্মচারীকে বাদ দেয়া হচ্ছে। তারা বিশ্বস্ততার সঙ্গে এতদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। এজন্য তাদের ধন্যবাদ। তবে অবিলম্বে সবাইকে পুনরায় কাজ দেয়ার চেষ্টা করা হবে।
প্রসঙ্গত, রানির মৃত্যুর পরেই চার্লসকে ব্রিটেনের রাজা হিসাবে ঘোষণা করা হয়। সেই ঘোষণার অনুষ্ঠানেও দেখা গিয়েছিল,
এক কর্মচারীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন ব্রিটেনের রাজা। সামান্য পেন রাখা নিয়ে স্থানীয় কর্মচারীদের উপরে অহেতুক মেজাজ হারিয়ে ফেলছিলেন চার্লস। প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের উত্তরসূরি হিসাবে চার্লস আদৌ সিংহাসনে বসার যোগ্য কিনা, তা নিয়ে নিরন্তর কাটাছেঁড়া চালাচ্ছে ব্রিটিশ মিডিয়া। সিংহাসনে বসার পরেই যেভাবে তিনি সাধারণ কর্মচারীদের সঙ্গে ব্যবহার করছেন, তা নিয়েও বেশ সমালোচিত হচ্ছেন চার্লস।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।