স্টাফ রিপোর্টার, কেশবপুর: যশোরের কেশবপুরের পশ্চিমাঞ্চলের ব্যাস্ততম সড়ক হিসাবে পরিচিত কেশবপুর-ত্রিমোহিনী সড়কটি সংস্কারের অভাবে সড়কটির কর্পেটিং উঠে গিয়ে খানাখন্দ হয়ে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় শত-শত খানা-খন্দে পরিনত হয়ে লাখো মানুষের জন্য মরন ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এ অবস্থায় ওই রাস্তা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পথচারিরা ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে। এলাকাবাসি রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলার অধিকাংশ মানুষ বিভিন্ন এলাকায় তাদের জরুরী কাজ মেটাতে কেশবপুর-ত্রিমোহিনী সড়কটি যাতায়াতের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করে থাকে। এ সড়কটি প্রাচীন কাল থেকেই যশোর জেলার শার্শা, ঝিকরগাছা উপজেলা, সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ছাড়াও কেশবপুর উপজেলার বাজিতপুর, সরফাবাদ, মির্জাপুর, মজিদপুর, মঙ্গলকোট, ভোগতী, দোরমুটিয়া, শ্রীরামপুর, চালতেবাড়িয়া,

বায়সা, কড়িয়াখলি, বেগমপুর, সাতবাড়িয়া, মূলগ্রাম, হাবাসপোল, মির্জানগর, বরণডালি গ্রামসহ প্রায় শতাধিক গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ বিভিন্ন ধরণের ছোট-বড় যানবাহনে করে নিত্যদিনের প্রয়োজন মেটাতে এ রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করে থাকে। জরাজীর্ণ অবহেলিত এ সড়কটি মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হলেও সংস্কারের অভাবে সড়কটির বিভিন্ন জায়গায় সৃষ্টি হয়েছে শত-শত ছোট বড় গর্তের।

সরকারীভাবে বরাদ্দ অর্থের সিংহভাগই লুটপাট ও নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তাটি যেনতেন ভাবে সংস্কার করায় স্বল্প সময়ের মধ্যে রাস্তাটি ছোটছোট গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় বর্তমানে জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। জনদূর্ভোগের কারনে সাম্প্রতি পশ্চিাঞ্চলের লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে এই সড়কটি অভিশাপ হিসাবে পরিচিতি লাভ পেয়েছে। এ পথে চলাচল কারী ভূক্তভোগীরা সড়কটি দ্রুত সংস্কারের মাধ্যমে চলাচলের উপযোগী করে তুলতে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলম মোস্তফা বাবু বলেন, কেশবপুর-ত্রিমোহিনী সড়কের কর্পেটিং দ্রুত উঠে গিয়ে খানাখন্দ হয়ে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিষয়াটি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।