৩৫ বছরেও জোটেনি হুইল চেয়ার শারিরীক প্রতিবন্ধী জাহাঙ্গীর আলমের কপালে
মো শামসুর রহমান হৃদয়
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের কদমত লী বাজারের রাস্তার পাশ্বে দেখা মিলল শারীরিক প্রতিবন্ধী জাহাঙ্গীর আলমের। জম্মের পর থেকেই হাত ও পা থেকেও নেই। দুটি হাত দিয়ে লাটির উপর ভর করে মাটি ঘেঁষে চলাচল করছে।
একটি হুইল চেয়ারের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে সে। জাহাঙ্গীর আলমের আকুতি,তার একটি হুইল চেয়ার প্রয়োজন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,পলাশবাড়ী উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের হরিনাথপুর গ্রামের মৃত্যু হেলাল মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। জন্ম থেকেই জাহাঙ্গীর আলম শারীরিক প্রতিবন্ধী। চারটি হাত পা’ই তার নষ্ট। পা দুটি দিয়ে কোনও ভাবেই হাটা চলা করতে পারে না।পায়ের অধিকাংশই বাঁকা। হুইল চেয়ার না থাকায় হাতে লাটি ধরে ও আঙ্গুলের উপর ভর করে মাটি ঘেঁষে চলাচল করে সে। চলাচল করতে খুব কষ্ট হয় তার। মাটি ঘেঁষে চলাচল করায় হাত ও পায়ে ফোসকা পড়েছে। চোখমুখে হতাশা নিয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলল, ছবি তোলেন কেন ? আগে কতবার ছবি উঠেছে একটা হুইল চেয়ার পাইনি। হুইল চেয়ার হলে কিছুটা স্বাভাবিক চলাচল করতে পারতাম। আমারে একটি হুইল চেয়ার দিবেন?
প্রতিবেশী বাবলু বলেন,জাহাঙ্গীর আলম গরীব অসহায় পরিবারের ছেলে,তার বাবা মারা যাওয়ার পর সে আরোও অসহায় হয়ে পড়েছে।
এই শীতের মধ্যে সে মাটিতে চলাফেরা করেছে। ওর দিকে তাকালে খুব কষ্ট লাগে। কত কষ্ট করে চলাচল করে জাহাঙ্গীর। তার একটি হুইল চেয়ার খুব দরকার।
তার পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, যা আয় হয় তা দিয়ে পেটের ভাত জোটে না। কিভাবে হুইল চেয়ার কিনে দেই।
জাহাঙ্গীর আলমের খোঁজ খবর নিতে কথা হয় হরিনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন কবির রুশো,র সঙ্গে।
তিনি জানান,জাহাঙ্গীর আলম জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী। হাঁটতে পারে না। সরকারি ভাতা সে পায়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।