শরীরে অন্য প্রাণের উপস্থিতি টের পাওয়া মাত্রই খাওয়াদাওয়া থেকে চলাফেরা, প্রতিটি ধাপেই সতর্ক থাকতে হয়। সন্তানের বিকাশ কতোটা দ্রুত ও সুষ্ঠুভাবে হবে, তা নির্ভর করে মায়ের শারীরিক অবস্থার উপর।
গর্ভাবস্থায় খাওয়াদাওয়ার উপর বাড়তি নজর দেয়ার কথা বলেন চিকিৎসকরা। তেল, মশলাদার, প্রক্রিয়াজাত খাবার, নরম পানীয় খেতে নিষেধ করেন তারা। পেটে গ্যাস হতে পারে এমন খাবার এই সময় একেবারে এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। আবার বেশি ঠান্ডা পানীয় অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় না খাওয়া উচিত।
চিকিৎসকরা বলছেন, গর্ভাবস্থায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর হলো মাইক্রোওয়েভে বা ওভেনে তৈরি করা কিংবা গরম করা খাবার। এতে করে শিশুর সার্বিক বিকাশ ব্যহত হয়। মাইক্রোওয়েভের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ খাবারের মাধ্যমে মা এবং সন্তানের শরীরে প্রবেশ করে। কৃত্রিম যে কোনো কিছুই শারীরিক এই অবস্থায় প্রভাব ফেলে। এছাড়াও এই যন্ত্রে খাবার গরম করলে খাবারের পুষ্টিগুণ নষ্ট হতে পারে।
এর ফলে, খাবারের ভিটামিন বি-১২ উপাদান নষ্ট হয়ে যায়। শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী এই ভিটামিন। এছাড়া খাবার গরম করার সময় খাবারের সব জায়গায় সমান তাপ পৌছায় না। ফলে ঠান্ডা খাবার সম্পূর্ণ ব্যাকটেরিয়া মুক্ত হয় না। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে এমন খাবার খাওয়ার অভ্যাস মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে। মা হওয়ার আগে চিকিৎসকরা সব সময় গরম এবং টাটকা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। খাবারের সব পুষ্টিগুণ পেতে টাটকা খাবার খাওয়া প্রয়োজন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।