সাম্প্রতিক বৈশ্বিক যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেও নতুন বা অপ্রচলিত বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানি আয় বেড়েছে বাংলাদেশের। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে অপ্রচলিত বাজারে বাংলাদেশ থেকে ১২০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এরমধ্যে জাপানের বাজারে পোশাকের রপ্তানি চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ২১ কোটি ৭৫ লাখ ডলারে উন্নীত হয়েছে; যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ১৭ কোটি ২৯ লাখ ডলার ছিল।
আরো পড়ুন: বদলগাছী মিঠাপুর কলেজটি কাগজ কলমে থাকলেও এর বাস্তব চিত্র ভিন্ন
মেসির জোড়া গোলে আর্জেন্টিনার সহজ জয়
শতাংশের হিসেবে প্রায় ২৬ শতাংশ। ইপিবি’র তথ্যমতে, করোনা মহামারির অভিঘাতে টানা দুই বছর গতি হারানোর পর, ২০২১-২২ অর্থবছরে ফের জাপানে পোশাক রপ্তানি ১০০ কোটি ডলারের ঘরে পৌঁছেছে। এভাবে রপ্তানি বৃদ্ধির সুবাদে উচ্চ মানের পণ্য দিয়ে জাপানের পোশাক বাজারের আরও বড় অংশ দখল করতে চান বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা। পোশাক মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ জানিয়েছে, স্পোর্টসওয়্যার, ডেনিম ও অন্তর্বাস পণ্য দিয়ে চলতি অর্থবছরে জাপানে রপ্তানি ২০০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, বৃহৎ জাপানি ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে তারা সন্তোষজনক সংখ্যায় কার্যাদেশ পাচ্ছেন। অনেক ব্র্যান্ড ও ক্রেতা বাংলাদেশের কৃত্রিম তন্তু (ম্যানমেইড ফাইবার) উৎপাদন শিল্পেও বিনিয়োগের আগ্রহ দেখাচ্ছে।
বর্তমানে উন্নত দেশগুলো চীন নির্ভরশীলতা কাটাতে ‘চায়না-প্লাস-ওয়ান’ কৌশল অবলম্বন বাড়ছে। এর মাধ্যমে শুধু চীনে বিনিয়োগ না করে এখাতের কোম্পানিগুলো অন্য দেশেও বিনিয়োগের মাধ্যমে তাদের পণ্য সংগ্রহের উৎসে বৈচিত্র্য আনছে বলে জানান তারা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।