রাজধানীর উত্তরা-বিমানবন্দর সড়কে আজ সকাল থেকে ভয়াবহ যানজট দেখা দিয়েছে। এতে ওই রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা অসহনীয় ভোগান্তিতে পড়েছেন। বৃষ্টির কারণে সড়কের খানাখন্দ ও গর্তে পানি জমে থাকায় সকালে এক প্রকার স্থবিরতা নেমে আসে ওই সড়কে।

এমন পরিস্থিতিতে মোটর বসিয়ে বিমানবন্দর সড়কের পানি সরাতে উদ্যোগ নেয় পুলিশের ট্রাফিক উত্তর বিভাগ।

রবিবার দুপুর ১২টার দিকে এই মেশিন দিয়ে তারা পানি সরানোর কাজ শুরু করে। ঘণ্টাখানেক পর কমে সড়কের পানি। তখন বিমানবন্দর সড়কে যান চলাচলে গতি বাড়ে কিছুটা। তবে বিকেলে ৩টা পর্যন্ত এই সড়কের যানজট নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি ট্রাফিক পুলিশ।

পুলিশের ট্রাফিক উত্তর বিভাগ সূত্র জানায়, রবিবার ভোর থেকে রাজধানীতে শুরু হয় বৃষ্টি। এতে বিমানবন্দর সড়কের উত্তরার অর্ধেক অংশ পানির নিচে চলে যায়। ফলে সড়কটিতে গতি কমে যায় যান চলাচল।

এর মধ্যে আবার সড়কের খানাখন্দ ও গর্তে পড়ার আশঙ্কায় যানবাহনগুলো পানির অংশ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। এতে উত্তরা ছাড়িয়ে খিলক্ষেত, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও সাতরাস্তা পর্যন্ত যানজট ছাড়িয়ে যায়।

দীর্ঘ সময় আটকে থেকে উপায় না পেয়ে হেঁটেই গন্তব্যে ছুটেন যাত্রীরা। ফলে ভোগান্তিতে পড়ে মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে যানজট নিরসনে হিমশিম খায় ট্রাফিক পুলিশ। একইভাবে খিলক্ষেত, বাড্ডা, নতুন বাজার, রামপুরা এলাকা পর্যন্ত বিমানবন্দরগামী লেনে সৃষ্টি হয় যানজট।

জানতে চাইলে ট্রাফিক উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার নাবিল কামাল শৈবাল বলেন, বিমানবন্দর সড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করছি। বিআরটিএ’র চলমান কাজের জন্য সড়কে অনেক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

এসব গর্তের পানি অপসারণ করতে শ্যালো মেশিন লাগানো হয়েছে। এখন সড়কে পানি কমছে, সেই সঙ্গে গতি বাড়ছে যান চলাচলে।